শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
শামীম আক্তার চৌধুরী প্রিন্স, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পত্নীতলায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর জখম, হাসপাতালে ভর্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, দীঘদিন যাবৎ উপজেলার হরিপুর গ্রামের মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে আব্দুল গোফফারের সাথে তার বৈমাত্র ভাই উমিচ উদ্দীন (৪৮), আলতাব হোসেন (৩৬) এর সাথে বেশ কিছুদিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
উক্ত বিরোধের জের ধরে উমিচ উদ্দীন সহ তার সঙ্গীয়রা বিভিন্ন সময়ে গোফফার সহ তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আছছিল। এরই এক পর্যায় গত ২৩অক্টোবর/২১ শনিবার সকালে গাফফারের ছোট ভাই আমজাদ হোসেন তার স্ত্রীকে হরিপুর মোড় থেকে ভ্যান যোগে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে বাড়ি ফেরার সময় উমিচ উদ্দীন সহ তার সঙ্গিয়রা আমজাদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে আমজাদ তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করে এতে তারা আমজাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করতে থাকলে আমজাদের চিৎকারে গোফফার ও তার শ্যালক মোরশেদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উমিচ উদ্দীনের ছোট ভাই আলতাব হোসেন ধারালো চাকু নিয়ে গোফফারকে মারার চেষ্টা করলে সে কোন রকম রক্ষা পেলেও গুরুত্বর জখম হয়ে মাটিতে পরে গেলে আলতাব হোসেন এবং একই গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে ছানোয়ার হোসেন (৪০) লাঠিসোটা ও রড় দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে।
এসময় গোফফারকে বাঁচাতে তার শ্যালক মোরশেদুল এগিয়ে আসলে উমিচ উদ্দীন রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মোরশেদুলের মাথায় আঘাত করলে আঘাতটি মাথায় না লেগে হাতে লাগায় কোনরকম সে বেঁচে গেলেও গুরুত্বর ভাবে জখম হয়। উক্ত সময়ে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে উমিচ উদ্দিন সহ তার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা গোফফার ও মোরশেদুলকে গুরুত্বর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এঘটনায় থানায় অভিযোগকারী গোফফার জানান, আমার পিতা মৃত মহির উদ্দীনের দুই স্ত্রী। তার দুই স্ত্রী যথাক্রমে মৃত গফিরুন বেওয়া এবং উমেছা বেগম। আমি ও আমারছোট ভাই আমজাদ হোসেন গফিরুন বেওয়ার সন্তান এবং বিবাদী উমিচ উদ্দীন (৪৮), আলতাব হোসেন (৩৬) উমেছা বেগমের সন্তান। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে ছানোয়ার হোসেন (৪০)কে নিয়ে উক্ত ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে খুব ভয়ের মধ্য দিয়ে দিন পার করছি। পত্নীতলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
