এই মৃত্তিকায় ইছামতি ছুটে চলে সাগর হিমালয় নীল জল।
তেঁতুলের বনে ঝাউ গাছ উড়ে,ভোরের বাতাসে প্রাচীন স্মৃতির ইতিহাস।
পৃথিবীর কোলাহল চিরকাল স্বপ্ন দেখে নতুন চেতনার দীপ্ত বিশ্বাস।
বাংলার বাঁকে বাঁকে হেঁটে যায় কিশোর ও কিশোরী যৌবন আগামী।
শিশিরে ভেজা পথ অন্ধকারে অচেনা তবু হৃদয়ে ভালোবাসা আত্মায় প্রেম।
ভাদ্রের থই থই নদী,ছোট গাছে মাছরাঙা নিশানা করে পেট জ্বলে অনাহারী।
বালুকাবেলায় শ্যামা ডাকে,ছোট গ্ৰাম পাঠশালায় কোলাহল শিশুদের চিৎকার।
রায় বাড়ির গানের অনুষ্ঠানে কাঁকন বাজনা শুনিনি কতোদিন বহুদিন।
বটের লাল ফল আকাশে বাঁকা চাঁদ রূপের ভেতর তাঁর জীবনের বেদনা বিষণ্ণ।
খোঁপা মাথায় কামিজ গায়ে গ্ৰামের কুঁজবরণ কন্যার দৃষ্টি রঙিন,
ছুটোছুটি খেলা করে প্রেম ও ভালোবাসার জীবন বন্ধন।
শ্রাবণে খোলা আকাশ প্রকৃতি নিরিবিলি তবু দুটি চোখ বিরহে মলিন।
কেশবতী কন্যার কালো চুল,মাটির সাথে বন্ধুত্ব করে অনাগত সংসার সরল।
স্বপ্নবান চোখ দুটি নীল আকাশের নিচে কাঁচা ঘাস দেখে ফড়িং প্রজাপ্রতি ।
বকুলের ক্লান্ত ফুল ঝরে পড়ে পাড়াগাঁর যুবক যুবতী কুড়ায় প্রেমমালা প্রীতি।
আষাঢ়ের বাদলে ঝব ঝবে দহ ভরে যায় পানিতে মাছ ছুটোছুটি।
অসংখ্য পাখি আকাশে উড়ে যায় গ্ৰামের প্রাথমিক বিদ্যালয় দূরে রেইনবো স্কুল।
উত্তরে ভেদরী বিল পশ্চিমে ছোট বিল ঢেউয়ে ঢেউয়ে উথাল পাতাল গাংকুলা।
হেমন্তে ফসলের গন্ধে কর্ম করে গৌড় যুবক উদাস মন নিরিবিলি।
মাঝে মাঝে কারে যেন খোঁজে সে চঞ্চল প্রাণ তাঁর উতালা।