মোঃ গোলাপ মিয়া লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে দুই আসনের সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী কালিগঞ্জ উপজেলার কৃতিসন্তান আলহাজ্ব মোঃ নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তিনি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম গ্রামে ১৯৫০ সালের ৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি এক সম্ভ্রান্ত ও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার পিতা মরহুম আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ তিনি দু’বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন তার মায়ের নাম নূরজাহান বেগম। নুরুজ্জামান আহমেদ তৃণমূলের রাজনীতিতে একজন সফল এবং সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে সুপরিচিত মুখ হিসাবে পরিচিত তিনি তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে ছাত্রজীবন থেকেই সম্পৃক্ত ছিলেন নুরুজ্জামান আহমেদ এর পিতা আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহম্মেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছের রাজনৈতিক সহচর হিসেবে সক্রিয়ভাবে মহান স্বাধীনতার মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজ পিতার রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহম্মেদ ছাত্র জীবনেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর রাজনিতীতে সক্রিয় সদস্য হিসাবে রাজনীতি শুরু করেন।নুরুজ্জামান আহমেদ ধর্ম,বর্ন,শ্রেণী পেষা নির্বীশেষে সকল মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসাবে সুপরিচিত লাভ করেন ।
তৃণমূলে বিপুল কর্মি বাহিনী তার রাজনৈতিক জীবনের প্রধান চালিকাশক্তি ও হাতিয়ার। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে জনগণ তাকে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন । ধারাবাহিকভাবে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশর মহান জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথমবারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তৃণমূল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নুরুজ্জামান আহমেদ নিষ্ঠার সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯০ হতে ২০০৯সালে দুবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে লালমনিরহাট ২ আসনে (কালিগঞ্জ -আদিতমারী) থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে ১৪ জুলাই তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বে পালন করেন । খাদ্য মন্ত্রণালয় তিনি স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও দক্ষতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত সফলভাবে পালন করেন, ১৯ জুন ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব প্রদান করেন এবং ২১ জুন ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথমে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে একই মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কর্ম দক্ষতা দেখে পুর্ন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন ।সেই থেকে আজও পর্যন্ত সঠিক ও সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন । সমাজ কল্যান মন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদের আরো একটি বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার বাবা প্রয়াত করিম উদ্দিন আহমেদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ১৯৬৯ সালে কৃতিত্বের সাথে বি,কম ডিগ্রি লাভ করেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ সাহিত্য, কবিতা,গান নিয়ে রয়েছে প্রগাঢ় আগ্রহ। অবসর সময়ে তিনি কবিতা চর্চা করেন।সময় পেলেই গান শোনাও তার প্রিয় অভ্যাস।কাজী নজরুল ইসলাম ও কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অন্যতম প্রিয় কবি।কবিতায় মন্ত্রীর প্রিয় উদ্ধৃতির একটি হচ্ছে রবি ঠাকুরের কবিতা,,আকাশ ভরা সূর্য তারা বিশ্বভরা প্রাণ, তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান, বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান,। ব্যক্তিগত জীবনে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বিবাহিত জীবনে তিন সন্তানের গর্বিত পিতা। তার সহধর্মিণীর নাম হোসনে আরা বেগম মন্ত্রীর প্রথম সন্তান পারমিতা জামান চৌধুরী, ২য় সন্তান রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ৩য় সন্তান শাকিলা আজাদ। সকল সন্তানই প্রতিষ্ঠিত। তার দ্বিতীয় ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ দাদার হাতে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করিম উদ্দিন পাবলিক সরকারি কলেজের একজন প্রভাষক রাজনৈতিক জীবনে তার পিতার হাত ধরে ধাপে ধাপে এগিয়ে আজ লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছে । তিনিও দাদা,বাবার মতোই লালমনিরহাট ২ আসনের মানুষের কাছে জনন্দিত, জনপ্রিয়, ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন,পরবর্তীতে আওয়ামী যুবলীগের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সক্রিয় রাজনীতি করে করে যাচ্ছে।
