জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা থেকেও মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। তাদের স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেছে কক্সবাজারের রাজপথ।
এদিকে ভোর থেকে কক্সবাজার শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে। সভাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে হাসপাতাল মোড়, প্রধান সড়কের পালের দোকানের পশ্চিমে কোনো প্রকার যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বন্ধ রাখা হয়েছে মেরিন ড্রাইভে সাধারণ যান চলাচল।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে সকাল ১০টার পর থেকে সভাস্থলে জনস্রোত দেখা যাবে। এরই মধ্যে স্টেডিয়ামের মাঠে প্রবেশের মূলগেটে নেতাকর্মীদের জটলা দেখা গেছে। একেক নেতার অনুসারীরা নিজেদের পরিচয় জানান দিতে নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি পরেছে সভাস্থলে আসছেন।
চকরিয়া থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর আলম বলেন, অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি দেখব। যেদিন থেকে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার আসবে শুনেছি সেদিন থেকে এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করছি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে কক্সবাজার জেলা পুলিশ চার স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছে। পুলিশের সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। সাজানো হয়েছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা; সঙ্গে রয়েছে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। এই দুটি অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার পৌঁছেছেন বুধবার সকাল ১০টায়। তিনি সরাসরি আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ার উদ্বোধন করতে বঙ্গোপসাগরের ইনানী মোহনায় যান। ওখানে কর্মসূচি শেষে দুপুর ২টার পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী লাবণি পয়েন্টের শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জনসভা মঞ্চে আসার কথা।