রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআরের প্রধান সের্গেই নারিশকিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস। সোমবার (১৪ নভেম্বর) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বৈঠক করেন তারা। উভয় দেশের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, দুই গোয়েন্দা প্রধান ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো আলোচনা করেননি। পরমাণু যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে কথা বলেছেন তারা। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালালে তার পরিণতি কী হবে, সে বিষয়ে মস্কোকে সতর্ক করেছেন সিআইএ প্রধান।
তুরস্কের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা উইলিয়াম বার্নস ও সের্গেই নারিশকিনের এই সাক্ষাতের আয়োজন করেন বলে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে। বার্নসের তুরস্ক সফরের বিষয়টি আগেই ইউক্রেনকে জানানো হয়। হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে আলোচনা করেননি তারা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় প্রয়োজনে তিনি ‘সব ধরনের’ অস্ত্র ব্যবহার করবেন। পুতিনের এই ঘোষণায় ইউক্রেনে পরমাণু হামলার আশঙ্কা করছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।
চলতি মাসের শুরুতে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানায়, শীর্ষ রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অনুসারে, মার্কিন জাতীয়-নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান রাশিয়ার ইউরি উশাকভের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। উশাকভ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জাতীয়-নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলে পাত্রুশেভের জ্যেষ্ঠ পররাষ্ট্র নীতি সহকারী।
হোয়াইট হাউস এই আলোচনার কথা অস্বীকার করেনি। মুখপাত্র কারিন জ্যঁ পিয়েরে বলেন, যোগাযোগগুলো ‘ঝুঁকি হ্রাস’র ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। অপরদিকে পেসকভ ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছিলেন, ব্রিটিশ ও আমেরিকান গণমাধ্যমগুলোর ‘ভুয়া খবর’ ছাপানোর প্রবণতা রয়েছে।
ইউক্রেন সংকটের সময় তুরস্ক প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়। মার্চের শেষ দিকে তারা রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার আয়োজন করেছিল। সেই সময় শান্তি চুক্তিতে নিষ্পত্তির দিকে দুই পক্ষের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়। তবে এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কিয়েভ সফরের সময় আলোচনাটি বানচাল করা হয়ে যায়।