দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দৌড়ে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি একজন মার্কিন সেনা সদস্য। ওই সেনা সদস্যের নাম ট্রাভিস কিং। মঙ্গলবার তিনি সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার নাম করে দৌড়ে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যান। তিনি কেনো এমনটা করেছেন এবং উত্তর কোরিয়ায় তিনি কেমন আছেন, তা এখনও জানা যায়নি।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ট্রাভিস কিং মার্কিন সামরিক বাহিনীর অংশ হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন ছিলেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তিনি দুই মাস কারাদণ্ড পেয়েছিলেন। গত ১০ই জুলাই তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পান। তার বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। তাকে সেখানে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই তিনি দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে ঘুরতে যান। আর সেখান দিয়েই তিনি পালিয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন।
ট্রাভিস কিং-এর বয়স ২৩ বছর। তিনি ফার্স্ট আরমর্ড ডিভিশনের সদস্য ছিলেন। তার পরিবারকে এরইমধ্যে ঘটনাটি জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। তার মা এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, তার সন্তানের এভাবে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনে তিনি বড় ধাক্কা খেয়েছেন। সে এমনটা কেনো করলো তা কোনোভাবেই বুঝতে পারছেন না তিনি। কয়েক দিন আগে যখন ট্রাভিসের সঙ্গে তার কথা হয়, তখন তার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসা নিয়ে কথা হয়েছিল।
এদিকেই হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন-পিয়ের বলেন, বিষয়টি নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনে এক ভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, আমরা পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছি এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিক্রিয়ার ওপর নজর রাখছি। আমরা আমাদের সেনা সদস্যের সুরক্ষাকেই সবথেকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি সুরহা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।