মোঃ গোলাপ মিয়া আদিতমারী লালমনিরহাট থেকেঃ লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এবং বিএনপি থেকে একাধিক প্রার্থী কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীগণ । সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কান্তেশ্বর রায় কে মেনে নিতে পারছে না সাধারণ জনগণ, দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে কান্তেশ্বর রায় একজন নতুন মুখ। বর্তমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ছাত্রলীগের জেলা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ফারুকের ছোট ভাই মাহামুদ উমর চিশতী তাঁর পিতা ছিলেন কমলাবাড়ী ইউনিয়নের ৫ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহীদ সামসুল ইসলাম সুরুজ দুষ্কৃতী কারীদের হাতে জীবন দিতে হয় । সুরুজ ছিলেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চিশতী পিতার মৃতুর পরে উপনির্বাচনে তার চাচা শওকত আলী কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় পরবর্তীতে ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। গত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ইমরুল কায়েস ফারুক তারই আপন বড়ভাই পিতা এবং চাচার ঐতিহ্য ধরে রাখতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ক্রয় করেন আদিতমারী উপজেলার আওয়ামী লীগের পরিবারটি এই পরিবার কে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য এক অপরিচিত মুখ কে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া কমলাবাড়ী ইউনিয়ন বাসী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমলাবাড়ী ইউনিয়নে তাদের নিজ বাসায় এসে ছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সর্বদায় তাদের পাশে থাকবেন ও খোঁজখবর রাখবেন , রাজনীতি প্রতিহিংসার কারণে আওয়ামী লীগের টিকেট পাননি এই পরিবারটি । এদিকে আদিতমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রভাষক আশরাফুল আলম মোশেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ছিলেন তিনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন এই প্রার্থী । আওয়ামীলীগের ৩ প্রার্থীর মধ্যে মাহামুদ উমর চিশতী ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে প্রভাষক আশরাফুল আলম মোশেদ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কান্তেশ্বর রায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে জানালেন সাধারণ ভোটারগণ এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বিএনপি থেকে দুইজন প্রার্থী এদের মধ্যে একজন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম অপু অপরজন উপজেলা বিএনপি নেতা মাইদুল ইসলাম জুয়েল এই দুই প্রার্থী দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন । উক্ত সকল প্রার্থীগণ আসন্ন সরস্বতী দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজামণ্ডপ
ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ,আওয়ামী লীগের পদে থাকা দুই প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, দল থেকে বহিষ্কার করলেও নির্বাচন করবেন, আরো বলেন দল কি সিদ্ধান্ত নেয় এটা দলের বিষয় , নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো এটাই সবচেয়ে বড় কথা নির্বাচন থেকে সরে আসা কোনো সুযোগ নেই ।
