বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব বৈশাখী মেলা গ্রামগঞ্জের বটতলা থেকেই প্রথম শুরু হয়। এরপর তা দেশের প্রতিটি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা।বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিসিক ও বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বৈশাখী মেলা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, পহেলা বৈশাখের এ মেলা শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক নয়, সারা বাংলাদেশেই এ মেলা হয়। মূলত গ্রামগঞ্জ থেকেই এ মেলা ছড়িয়ে ঢাকায় আসে। দেশের প্রতিটি প্রান্তেই এ মেলা উদ্যাপন করা হয়। যারা এ মেলাকে ঢাকা কেন্দ্রিক বলেন তারা ভুল বলেন। যারা বিরোধিতা করছেন তারা না বুঝেই করছেন।
নিজের ছোট বেলার স্মৃতি মনে করে নুরুল হুদা বলেন, ‘আগে যে লোকমেলা হতো তা আমাদের বাড়ির পাশেই হতো। আমি সে মেলায় যেতাম। এখন এসব মেলা বাংলা একাডেমিসহ ঢাকা শহরে ছড়িয়ে গেছে। আমাদের নববর্ষ উদ্যাপন আগে যেভাবে হয়েছে, এখনও সেভাবেই হচ্ছে। বরং এখন অনেক আধুনিক, অভিনব ও নতুন মাত্রায় হচ্ছে।’
বৈশাখী মেলা বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈশাখী মেলা গ্রামেগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সামনেও হবে। আগে যেমন হালখাতার মাধ্যমে পুরানো দিনের হিসাব চুকিয়ে নতুন দিনের শুরু করা হতো, এখনও তেমনই হচ্ছে। এটি দেশের ঐতিহ্যের অংশ। এ মেলা বাঙালির অন্তরের মেলা। সময়ের সঙ্গে মেলার আবহ বদলায়। আমরা যারা বাঙালি জাতি আছি তাদের কাছে এই জনগোষ্ঠীর যে রীতি প্রচলিত হয়ে আসছে তা হলো এই উৎসব। বৈশাখী মেলা আমাদের জাতির উৎসব।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (বিসিক) চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমানসহ বাংলা একাডেমি ও বিসিকের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।