রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২১ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ

Reporter Name
Update : মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩, ৩:৪৪ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।বৈঠকে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের নির্বাচন, মানবাধিকার ও দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন তারা।
বৈঠকের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিগত ৫০ বছরের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়েছে, জলবায়ু থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সবকিছুতে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে যে কাজ করেছি তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে তাদের লালনপালন করছে। আমরা এ কারণে বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানাই।’  অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘আমরা দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী করতে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং মানবাধিকারের বিষয়ে একযোগে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবং অবশ্যই আমরা এমনকি সারা বিশ্বই গভীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনের দিকে। আমরা এটি নিশ্চিত করতে চাই যে, তারা (বাংলাদেশ) একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে এ অঞ্চল এবং সারা বিশ্বেই একটি উদাহরণ স্থাপন করবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আমন্ত্রণ জানানোয় ব্লিঙ্কেনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বহুমুখী, গতিশীল এবং বিস্তৃত সম্পর্ক রয়েছে। বিগত ৫০ বছরে আমরা সত্যিই ভালো করেছি এবং আমরা আগামী ৫০ বছরে আরও ভালো করার জন্য উন্মুখ।’ ড. মোমেন বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা যখন আমাদের ৫১তম স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করছি, তখন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি উষ্ণ বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তিনি চিঠিতে যা লিখেছিলেন তা আমি এখানে উদ্ধৃত করছি, “যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একত্রে অনেক কিছুই অর্জন করেছে।” তিনি তার লেখা শেষ করেছিলেন বিশেষ একটি শব্দ বলে যে, “জয় বাংলা”। এর অর্থ হলো, “বাংলাদেশের জয়”। এটি আমাদের স্বাধীনতায় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং মানব মর্যাদার জন্য প্রাণ দেয়া ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগকে তুলে ধরে। আমরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও একটি বার্তা পাঠিয়েছেন, যা আজ আমি আপনার কাছে তুলে দেব।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন, সে সময় আপনিও একটি চমৎকার বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেটিও আমি উদ্ধৃত করতে চাই। আপনি বলেছিলেন, “বাংলাদেশের গর্বিত হওয়ার জন্য ব্যাপক কারণ রয়েছে। দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান সুশিক্ষিত কর্মশক্তি এবং একটি গতিশীল যুব জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ দ্রুত একটি আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে।” আপনি আরও বলেছিলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব এবং গত পাঁচ দশকে দুই দেশ যৌথভাবে যা অর্জন করেছে তার জন্য গর্বিত। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করে সত্যিকারের অগ্রগতি করেছি”।’

তিনি বলেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে একমত। আমরা আপনাদের সমর্থন এবং সক্রিয় অংশীদারত্ব অর্জন করতে চাই এবং আমরা আপনাদের অংশীদারত্বের জন্য গর্বিত। আমাদের আরও সামনের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আমরা আরও ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে পারি। আমি এখানে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়ন, শক্তিশালী এবং দৃঢ় করতে এসেছি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host