যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ‘গোয়েন্দা বেলুন’ ধ্বংস করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ জানায়। খবর এনডিটিভির।বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বেলুনটি ধ্বংস করে স্পষ্টভাবে ‘অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া’ জানিয়েছে। সেইসঙ্গে গুরুতর আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তারা আরও বলেছে, ‘চালকবিহীন বেসামরিক আকাশযানটিতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যে শক্তি ব্যবহার করেছে, তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বল প্রয়োগের ওপর জোর দিয়েছে। স্পষ্টভাবে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। চীন দৃঢ়ভাবে নিজেদের বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষা করবে।’ সেই সঙ্গে ‘প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া’ দেখানোর কথা জানিয়েছে বেইজিং।
এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বেলুন ধ্বংসের প্রক্রিয়াকে ইচ্ছাকৃত এবং আইনানুগ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, চীন আমাদের সার্বভৌমত্বের ‘অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন’ করেছে। তার প্রতিক্রিয়া আমরা দেখিয়েছি।
এদিকে, বেলুনটি ধ্বংস করায় যুদ্ধবিমানের পাইলটদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মেরিল্যান্ডের হ্যাগারসটাউনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে একটি সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুনকে গুলি করে ধ্বংস করার মিশন সফল হয়েছে। পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছিলাম, নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ থেকে বেলুনটি নামিয়ে ফেলতে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এফ-২২ যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে আটলান্টিক উপকূলে বেলুনটি ধ্বংস করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে সন্দেহভাজন চীনা ‘নজরদারি বেলুন’ শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, চীনা এই ‘গোয়েন্দা বেলুন’ যুক্তরাষ্ট্রের ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল’ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনার ওপর দিয়ে উড়ছে। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় চীন সফর স্থগিত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।