ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টের অবস্থা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এদিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চল ওডেসার একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে দুর্ঘটনার কারণে পাঁচ লাখেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে। এমন সময়ে শনিবার রাতে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আর্টিমোভস্ক (বাখমুত), উগলেদার এবং লিমানসহ বেশ কিছু স্থানে পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন রূপ ধারণ করেছে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
জেলেনস্কি যে তিন শহরের নাম বলেছেন তা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা লাইন টিকিয়ে রাখতে সবথেকে বড় ভূমিকা রাখছে। এগুলোর যে কোনো একটির পতন হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে রাশিয়ার কাছে বিশাল অঞ্চল হারাবে দেশটি। গত মাসে সোলেদার শহর দখল করে রাশিয়া। এরপর থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো জয় নেই দেশটির। দেশটির ভাড়াটে সেনাদের দল ওয়াগনার বাখমুত দখলে শহরটিকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। এই শহরের পতন হলে ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছারা কয়লা খনিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শহর উগলেদারেও প্রবেশ করেছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হ্যানা ম্যালিয়ার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছেন, বাখমুত এবং লিমানে প্রবেশে রাশিয়ার চেষ্টা রুখে দেয়া হয়েছে।যুদ্ধের প্রথমে অনেকটা বিনা বাধায় লিমান দখলে নিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে গত অক্টোবর মাসে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে লিমান শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায় রাশিয়া। এখন আবারও এই শহর দখলে শক্তি প্রয়োগ করছে দেশটি।
এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে যাওয়া বিদেশি সেনাদের আরও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্ট থেকে দুই বৃটিশ নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। তাদের নাম ক্রিস প্যারি (২৮) এবং অ্যান্ড্রু বাগশ (৪৭)। দনেতস্ক অঞ্চলে তাদের গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আরেকটি বন্দি বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউক্রেনের ১১৬ বন্দিকে মুক্তি দেয় রাশিয়া। অপরদিকে রাশিয়ার ৬৩ বন্দিকে ছেরে দিয়েছে ইউক্রেন।