সুজন হোসেন রিফাত ,মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা মামলাসহ একডজন মামলার এক আসামীকে নিশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় চা দোকানী আউয়াল মাতুব্বরকে। এই ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
নিহত আউয়াল (৫৪) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকার কাশেম মাদবরের ছেলে। তার পরিবারে দুই স্ত্রী, তিন ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। সে ওই এলাকার গত ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব আলী মাতুব্বর হত্যাসহ অন্তত এক ডজন মামলার আসামী ছিলেন। এদিকে ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা।
স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে দোকানের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েন চা দোকানী আউয়াল মাতুব্বর ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম। পরে সেখান থেকে আউয়ালকে ডেকে পাশের নির্জণ স্থানে নিয়ে যায় মৃত সাহেব আলী মাতুব্বরের দুইছেলে নান্নু ও চুন্নু মাতুব্বরসহ ৮-১০ জন। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিশংসভাবে আউয়ালকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় তারা। অনেক খোঁজাখুজির পর পরিবারের লোকজন রাত ১২টার দিকে তাকে ভর্তি করে জেলা সদর হাসপাতালে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হলে রোববার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আউয়াল। ঘটনার পর পুরো এলাকায়জুড়ে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহত আউয়াল মাতুব্বরের ছোট ভাই নজরুল মাতুব্বর বলেন, দোকান থেকে ডেকে নিয়ে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করবে এটা ওদের আগের পূর্বপরিকল্পনা ছিলো। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি চাই।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, পূর্বের হত্যাকান্ডের জেরেই নতুন করে আবারো এই হত্যাকান্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে নতুন এই হত্যাকান্ডে বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে, গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশের একাধিক টিম অপরাধীদের ধরতে কাজ শুরু করেছে।
সুজন হোসেন রিফাত