একদিকে দেশের চলমান ডলার সংকটে পণ্য আমদানিতে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ আমদানিকারকদের, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। এর মধ্যে সুখবর হচ্ছে, সুবাতাস বইছে প্রবাসী আয়ে।বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যসূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারির প্রথম ২০ দিনে ১৩১ কোটি ৫২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। দৈনিক হিসাবে যার পরিমাণ ৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার। গত মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। দৈনিক হিসাবে যার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত জুলাইয়ে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এর পরের মাসে কিছুটা কমে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসে মাসের ব্যবধানে এক লাফে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স কম আসে। ওই মাসে মোট প্রবাসী আয়ের হিসাব দাঁড়ায় ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অক্টোবরে আরেক দফা কমে মোট রেমিট্যান্স আসে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।
পরে নভেম্বরে এসে আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে বৈধ চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ের পরিমাণ। এ মাসে মোট রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর বিদায়ী বছরের শেষ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।