সুজন হোসেন রিফাত, মাদারীপুর প্রতিনিধি: এক যুবকের সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর। প্রেমিকের সাথে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণ শিকার হয় স্কুল ছাত্রীটি। প্রেমিক ও তার এক বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করে ওই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৩১ ডিসেম্বার) বিকেল চারটার দিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বিশ্বম্বরর্দী এলাকায়। পুলিশ আকটকৃতদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে গেলে কিশোরী তাদের সনাক্ত করে । পুলিশ মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে রবিবার বিকেলে শামীম ফকির ওরফে হাসান (২৪) ও ইয়াসি মোল্লা ওরফে রাব্বি (১৫) নামে তাদের আটক করেছিলো।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর সাথে এক মাস আগে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় রাজৈর উপজেলার বিশ্বম্বরদী পরিচয় দেওয়া শামীম ফকির ওরফে হাসান নামের এক তরুণের সাথে। কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। এরপরে শনিবার বিকেলে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে দেখা করার কথা বলে শামীম। পরে মেয়েটি দেখা করতে আসলে তাকে নিয়ে রাজৈর উপজেলার সাখারপাড় ব্রীজ এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় শামীম। সে সময় শামীম ফকির ওরফে হাসান এর সাথে তার এক বন্ধু ইয়াসিন । পরে ওই কিশোরীকে ব্রীজের পাশে একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে শামীম। মেয়েটি গুরুতর অসুস্থা হয়ে পড়লে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় ওই দুই বখাটে। স্থানীয়দের মাধ্যমে গুরুতর অসুস্থা অবস্থায় পরিবারের স্বজনরা তাকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। শামীম ও ইয়াসিন রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর এলাকার এসকান্দার ফকির ও পাট্টাু মোল্লার ছেলে।
ভুক্তভোগীর ওই কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়েকে শামীম ও ইয়াসিন নামে দুটি ছেলে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করেছে। তার মেয়ের সাথে এই জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের বিচার চান তিনি। সরকার ও প্রশাসন সর্বোচ্চ বিচার ফাঁসির দিবে বলে দাবি তার। এমন যেন আর কোন মেয়েদের সাথে এই জঘন্য কাজ না হয় তাই শাস্তির দাবিও করেন তিনি।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রুবায়েত ইবনে হাবীব বলেন,স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তার আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিটা রিপোর্ট আসলে বলা যাবে।
রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ মো আলমগীর হোসেন বলেন, হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত হিসেবে শামীম ফকির ও ইয়াসিন মোল্লা নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।