একটানা দুই মাসেরও বেশি বিক্ষোভের আগুনে বিপর্যস্ত ইরান। এবার চাপে পড়েই কিছুটা পিছু হটতে শুরু করল ইরান সরকার। দশকের পর দশক ধরে হিজাবের যে আইন ইরানে চলে আসছে, তা নিয়েই পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। শরিয়া-ভিত্তিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নীতি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার কুর্দি বংশোদ্ভূত ২২ বছর বয়সী ইরানী মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকে ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷
বিক্ষোভকারীরা তাদের মাথার স্কার্ফ পুড়িয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়েছে। আমিনির মৃত্যুর পর থেকে, অনেক নারীই হিজাব পরছেন না, বিশেষ করে ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতন তেহরানের উত্তর। ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজরি বলেছেন, ” হিজাব ইস্যুতে আইনের কোনো পরিবর্তন দরকার কি না সে বিষয়ে পার্লামেন্ট এবং বিচার বিভাগ উভয়ই কাজ করছে। ” তবে মনতাজরি উল্লেখ করেননি যে দুটি সংস্থার দ্বারা আইনে কী পরিবর্তন করা যেতে পারে, যা মূলত রক্ষণশীলদের হাতে রয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন-”পর্যালোচনা দল বুধবার সংসদের সাংস্কৃতিক কমিশনের সাথে দেখা করেছে এবং এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল সামনে আসবে। ”প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শনিবার বলেছেন, ইরানের প্রজাতন্ত্র ও ইসলামিক ভিত্তি সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। তবে সংবিধান বাস্তবায়নের পদ্ধতি রয়েছে যা নমনীয় হতে পারে।