বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৭ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

সীমান্তে চীন-রাশিয়ার যুদ্ধবিমান, পাল্টা পদক্ষেপ দক্ষিণ কোরিয়ার

Reporter Name
Update : বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:৩৪ অপরাহ্ন

চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান নিজেদের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের পর দক্ষিণ কোরিয়া পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। এরইমধ্যে নিজেদের যুদ্ধবিমানগুলো প্রস্তুত করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। খবর রয়টার্সের।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দুটি চীনা ও ছয়টি রুশ যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ঢুকে পড়ার পর তারা তাদের জঙ্গিবিমানগুলো উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত রেখেছে।
চীন ও রাশিয়ার ছয়টি বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে বুধবার (৩০ নভেম্বর) প্রবেশ করে বলে সিউলের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যেকোনো দেশের আকাশসীমা দুভাগে বিভক্ত। একটি হলো এয়ারস্পেস বা মূল আকাশসীমা, অপরটি এডিআইজেড। মূল আকাশসীমা রক্ষা করাই এডিআইজেডের কাজ।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর নির্বাহী সেনা কর্মকর্তারা (জয়েন্ট চিফস অব স্টাফস-জেসিএস) জানান, পূর্বদিকে জাপান সাগর পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এডিআইজেড এলাকায় প্রবেশ করেছিল রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান। তবে মূল আকাশসীমায় তারা প্রবেশ করেনি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর পাল্টা যুদ্ধবিমান পাঠানোর আগেই দেশটির এডিআইজেড ত্যাগ করে রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান।

তিনি আরও জানান, বুধবার স্থানীয় সময় আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে চীনের দুটি এইচ-৬ বোমারুবিমান দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দক্ষিণ কোরিয়ার এডিআইজেড এলাকায় একাধিকবার প্রবেশ করে ও পরে বের হয়ে যায়।

এর কয়েক ঘণ্টা পর বিমানদুটি আরও ৬টি রুশ যুদ্ধবিমানকে সঙ্গে নিয়ে জাপান সাগর থেকে ফের এডিআইজেড এলাকায় ঢুকে পড়ে এবং ১৮ মিনিট পর ওই এলাকা ছাড়ে।‍ রুশ বিমানগুলোর মধ্যে টিইউ-৯৫ বোমারুবিমান ও এসইউ-৩৫ জঙ্গিবিমান ছিল বলে জানিয়েছে জেসিএস।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ‘পর্যবেক্ষকদের’ বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেইজিং ও মস্কো যৌথ বিমান মহড়া শুরু করেছে।

মস্কো দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয়নি। বেইজিংয়ের মতে, ওই অঞ্চল নির্দিষ্ট কোনো দেশের আকাশসীমায় পড়েনি, সুতরাং সব দেশই সেখানে অবাধে বিমান চালাতে পারে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চীনা বোমারুবিমানগুলো পূর্ব চীন সাগর থেকে উড়ে এসে জাপান সাগরে দুটি রুশ ড্রোনের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার পর তারাও তাদের যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত রেখেছিল।

ওই অঞ্চলে মস্কো ও বেইজিংয়ের যুদ্ধবিমানগুলো নিয়মিত যৌথ মহড়া চালাবে বলে চীন ও রাশিয়া আগেই জানিয়ে রেখেছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host