ইউক্রেনে হামলার জন্য তেহরানের কারিগরি সহায়তায় নিজ দেশে শত শত ড্রোন তৈরি করতে ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে রাশিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে রোববার (২০ নভেম্বর) ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
নভেম্বরের শুরুতে ইরানে এক বৈঠকে চুক্তিটি চূড়ান্ত হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, নকশা এবং মূল উপাদান রাশিয়ায় হস্তান্তর করতে দুই পক্ষই প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নিজ দেশে উৎপাদনে যেতে পারে রাশিয়া।

কিয়েভ আগেই অভিযোগ করেছিল, ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া। তবে ইরান মস্কোকে ড্রোন দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছিল। পরে নভেম্বরের শুরুতে তেহরান স্বীকার করে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে রাশিয়াকে ড্রোন দিয়েছিল তারা।
৫ নভেম্বর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, ইরান রাশিয়াকে ‘কিছু’ ড্রোন দিয়েছে তবে তা ইউক্রেন যুদ্ধের আগে।
তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে কোনো অস্ত্র সরবরাহ করিনি। ভবিষ্যতেও করব না। কিছু পশ্চিমা দেশ আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে আমরা এই যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছি। ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল।
তবে ড্রোনের বিষয়টি নিয়ে বলতে পারি, আমরা ইউক্রেন যুদ্ধের কয়েক মাস আগে রাশিয়াকে সীমিত সংখ্যক ড্রোন সরবরাহ করেছি। তবে মস্কোকে যে ড্রোনগুলো দেয়া হয়েছিল তা বিস্ফোরক বহন করতে পারে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেননি হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আত্মঘাতী ড্রোনগুলো রাশিয়াকে ব্যাপক সুবিধা দিচ্ছে। আত্মঘাতী এ ড্রোনগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় শত্রুর স্থাপনা সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারে সেই সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজেই আঘাত করে বিস্ফোরিত হয়। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া পুরো ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনায় সিরিজ ড্রোন হামলা চালিয়ে সফল হয়েছে।