সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৯ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে 

Reporter Name
Update : বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২, ৩:৫৫ অপরাহ্ন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ খুলনা বিভাগে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস)।

বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৯ অক্টোবর) দেয়া সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানানো হয়, বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় এরইমধ্যে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যে নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নিতে পারে।


নিম্নচাপটির ‘ইনভেস্ট ৯২বি’ নামকরণ করা হয়েছে জানিয়ে পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের খুলনাঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত খুলনা বিভাগ দিয়েই ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টির আঘাত অপেক্ষাকৃত দুর্বল হতে পারে।

জিএফএসের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, খুলনা বিভাগে আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি যদি কিছুটা পূর্বদিকে সরে গিয়ে পুরোপুরি খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে আছড়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে ঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

জিএফএসের পূর্বাভাস সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে; যেটি ২২ থেকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি অর্জনের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে এবং ২৫ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কার কথা নির্দেশ করছে এবং এই বৃষ্টিপাত আগামী ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।

এর আগে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত মডেলগুলোর পূর্বাভাস নিয়মিত পরিবর্তন হতেই থাকে। এমনকি এটি স্থলভাগে আঘাত করার ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্তও আঘাত হানার স্থান ও শক্তির ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগরতীরের ১৩টি দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে।

নামের ক্রম অনুযায়ী এবার বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার নাম হবে ‘সিত্রাং’। ‘সিত্রাং’ নামটি থাইল্যান্ডের দেয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host