ইতিহাসে সর্বোচ্চ দরপতন ঘটেছে পাকিস্তানি রুপির। সোমবার দেশটির আন্তঃব্যাংক মার্কেটে এক ডলারের দাম উঠে যায় ২১০.১৯ রুপি। এ নিয়ে টানা সপ্তম কর্মদিবসে রুপির ‘ফ্রি-ফল’ বা অবাধে দরপতন ঘটেছে। এতে প্রায় ৬ রুপি অথবা শতকরা ৩ ভাগের ওপর পতন হয়েছে। কিন্তু এ অবস্থায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক দৃশ্যত ছিল অসহায়। তারা কিছুতেই রুপির এই দরপতন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। এতে আরও বলা হয়, এএ কমোডিটিজের পরিচালক আদনান আগর বলেছেন, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের সঙ্গে স্টাফ-পর্যায়ে চুক্তি না করা পর্যন্ত এই দরপতন অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের হৃদয়মন একেবারে ভেঙে গেছে। এই অবস্থাকে শক্তিশালী করা যেতে পারে শুধু আইএমএফ ফ্রন্ট ইতিবাচকভাবে উন্নতির মাধ্যমে। ওদিকে এক্সচেঞ্জ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের চেয়ারপারসন মালিক বোস্তান দেখতে পেয়েছেন বাণিজ্যে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। কমে গেছে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ। এসব কারণে স্থানীয় মুদ্রার এমন অবমূল্যায়ন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এখানে উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আরও একটি লংমার্চ ঘোষণা করেছেন। এতে ডলারের বিপরীতে রুপির দামে বড় রকম প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হবে।