মোঃ গোলাপ মিয়া আদিতমারী (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা, ধরলা, স্বর্নামতি, রত্নাইসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার (৫২.৭৪ সেন্টিমিটার) ১৪ সেন্টিমিটার উপরে ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২.৭৫ সেন্টিমিটার) ১৫ সেন্টিমিটার উপরে রেকর্ড করা হয়েছে (স্বাভাবিক ৫২.৬০ সেন্টিমিটার)।এ ছাড়াও জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে জেলায় নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।স্থানীয়রা জানান, ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি এবং বিকাল ৩টায় বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে রাত ৯টায় ডালিয়া পয়েন্ট পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়াও রাতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল ৯টায় তা কমে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটারের উপরে রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে জেলার ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটারে উপরে রেকর্ড করা হয়েছে। রত্নাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত কয়েকদিনে ৮/১০টি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে আরও ফসলি জমি ও বাড়িঘর।এ ছাড়াও জেলা বিভিন্ন নদী ও খাল, ডোবার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তা ছাড়াও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী লোকজনের বাড়িঘর। চলাচল, রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজকর্ম বিঘ্ন হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধি ও জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, তাঁতীপাড়া, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজানের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রানীগঞ্জের ৭, ৮ নম্বর ওয়ার্ড, সিংঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী কমলাবাড়ী হাজীগঞ্জ দুলালী ভেলা বাড়ী দুর্গাপুর এলাকার বর্তমান মৌসুমীর কাঁচাবাজারের তরিতরকারি পানির নিচে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত করেছে।