মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

আমাদের দেশ শাসন ও উন্নয়নের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের নয়

Reporter Name
Update : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২, ৫:৩৮ অপরাহ্ন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমাদের দেশ শাসন এবং এর উন্নয়নের দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়। যুক্তরাষ্ট্রেও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। সেখানে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ নাগরিক নিখোঁজ হয়। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিকাব আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যু? নিয়ে কথা বলেন। পিটার হাস বলেন, আগমী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে হচ্ছে কি না, মার্কিন প্রশাসন তা দেখতে চায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়ে বিবৃতিতে বলেন, আপনারা বাংলাদেশ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করুন। তিনি আরও বলেন, আপনারা অনুগ্রহ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করবেন, কেন তারা তাদের নিজ দেশে এ ধরনের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে পারেন না? এমনকি শিশুরা তাদের হিস্পানিক মা-বাবার সঙ্গে পুনর্মিলন থেকে বঞ্চিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করুন, বাংলাদেশ সম্পর্কে নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ দেশ শাসন এবং এর উন্নয়নের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের নয়। যুক্তরাষ্ট্র যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চায়, তাহলে আরটি (রাশিয়ান টেলিভিশন) সম্প্রচারে কেন বাধা দিয়েছে? তারা যদি জবাবদিহিতা  চায়, তাহলে কেন প্রতি বছর এক হাজারেরও বেশি নাগরিককে হত্যার দায়ে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী বা পুলিশের কোনো শাস্তি বা জবাবদিহি করতে হয় না? সাংবাদিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা কেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রশ্ন করেন না, যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হয়, তাহলে কেন তরুণ আমেরিকানরা তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না। কেন তরুণ আমেরিকানদের মধ্যে ভোট দেওয়ার হার কম? প্রতিটি নির্বাচনে কেন তাদের ভোটারদের প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট দেয়? এটা কি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া? সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host