দেশে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর শর্ত শিথিল করা হয়েছে। ৫ হাজার টাকার বেশি রেমিট্যান্সে প্রণোদনা পেতে রেমিটারের ওয়ার্ক পারমিটসহ নানা কাগজপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে কোনো কাগজপত্র ছাড়াই ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।
সোমবার (২৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী রফিকুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ হাজার ডলার অথবা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদানে কাগজপত্র বিদেশের এক্সচেঞ্জে হাউস থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে রেমিটারের কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়া ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে দেশে ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি পাাঠালে আয়ের কাগজ পত্র জমা দিতে হতো। এতে অনেক প্রবাসীই বেশি পরিমাণে টাকা দেশে পাঠাতেন না। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এ বাধ্যবাধকতা উঠে যাচ্ছে।
বর্তমানে কেউ ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে প্রতি ১০০ টাকায় আড়াই টাকা প্রণোদনা পান। অর্থাৎ যদি কেউ বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে ১০০ টাকা পাঠান, তাহলে দেশের সেই ব্যক্তির প্রতিনিধিরা সেই টাকার সঙ্গে আরও ২ টাকা ৫০ পয়সা বেশি পাবেন। অর্থাৎ, ১০০ টাকা পাঠালে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা পাওয়া যাবে। তার সত্ত্বেও এ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে প্রবাসী আয় ১৬ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্য, তেল ও জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় পণ্য আমদানি ব্যয় ব্যাপক আকারে বেড়ে গেছে। পাশাপাশি রেমিট্যান্সেও ভাটা পড়েছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপ পড়েছে। বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৪২ বিলিয়ন ডলার। ফলে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডলারের বহিপ্রবাহ ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।