১. রাশিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের এবং সেই সম্পর্ক রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকেও বেশ গভীর। ২. চীন ও রাশিয়া উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র। ৩. যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নেটোতে নিতে আগ্রহী। ৪. আর ইউক্রেনের সঙ্গে তো রাশিয়ার যুদ্ধই চলছে। ৫. এই ইউক্রেনের সঙ্গেও চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য।
কি, বেশ জটিল আর গোলমেলে মনে হচ্ছে? ঠিক এরকমই এক কঠিন ধাঁধায় পড়েছে চীন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিষয়ে চীনের অবস্থান কী হবে সেটা বেইজিং-এর জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক।
চীন সরকার ইউরোপে আরো একটি যুদ্ধ দেখতে চায় না। কিন্তু একই সাথে তারা রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরো জোরালো করতে আগ্রহী।
মনে রাখতে হবে ইউক্রেনের এক নম্বর বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। তাদের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মতো অবকাঠামো প্রকল্পের রেলওয়ে এবং বন্দর নির্মাণে বেইজিং ও কিয়েভ একসাথে কাজ করছে।
এই দুটো দেশের সামরিক সম্পর্কও গভীর। যুদ্ধ জাহাজের গ্যাস টার্বাইন, বিমানের ইঞ্জিন, এমনকি চীনের প্রথম বিমানবাহী জাহাজ লিয়াওনিং কেনা হয়েছিল ইউক্রেনের কাছ থেকে।
এসব কারণে বেইজিং কিয়েভের সাথেও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। কিন্তু এই চীনেরই ঘনিষ্ঠ রাশিয়া যখন ইউক্রেনে বিধ্বংসী সব হামলা চালাচ্ছে, তখন কিয়েভের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক উষ্ণ রাখা তো অবশ্যই কঠিন এক চ্যালেঞ্জ।বিবিসি