খুলনা প্রতিনিধি: ফিল্মি স্টাইলে বসতবাড়ির প্রাচীর ও নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুরের ঘটনায় ডুমুরিয়ায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জন আসামি গ্রেফতার করে জেলে পাঠিছেন থানা পুলিশ। বসতবাড়ির জমি দখলকে কেন্দ্র করে উপজেলার মধুগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ডুমুরিয়া উপজেলার মধুগ্রামের তৈয়েবুর রহমান খোকনের বসতবাড়ি নিয়ে তার ভাইদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। দু’যুগ ধরে খোকনের দখলে থাকা বসতবাড়ি পুনরায় ভাগ বাটোয়ারা করার দাবিতে এলাকায় কয়েকদফা শালিস দরবারও হয়েছে। বসতবাড়ির অভ্যন্তরে খোকন ঘর নির্মাণ শুরু করলে তার ভাই ও ভাতিজারা বাধা দেন। সর্বশেষ খোকনের ভাতিজা রাকিবুল হাসান রাতুল রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দিলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ঘর নির্মাণ কাজ সাময়িক বন্ধ করে দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মীমাংশার দিন ধার্য করেন। কিন্তু তৈয়েবুর রহমান খোকন পক্ষ যথাসময়ে উপস্থিত হলেও বাদিপক্ষ মুঠোফোন বন্ধ করে অনুপস্থিত থাকেন।
অবশেষে পুলিশ খোকনকে পুনরায় ঘর নির্মাণের অনুমতি দেন। ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে খোকন ঘর নির্মাণ শুরু করলে রাতুল ফকির (২৪), মিতুল ফকির (২১) এবং রোজিনা বেগম (৫) ফিল্মি কায়দায় শাবল, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে গালিগালাজ করে কাজে বাধা দেন। একপর্যায়ে খোকনের পরিবারকে মারপিট করে বাড়ির প্রাচীর এবং নির্মাণাধীন ঘর ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনায় মারাত্মক আহত তৈয়েবুর রহমান খোকনের অনার্স পড়–য়া কন্যা তনিমা রহমান তিশা (২৩)কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঐদিন সকালেই তৈয়েবুর রহমান খোকন ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪। এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান রোকনের ছেলে রাতুল ফকির (২৪), মিতুল ফকির (২১) কে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিকদার এনায়েত বলেন; মামলায় উল্লেখ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। তদন্ত চলমান। আসামি ২ জনকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন; ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এবং প্রাথমিক তদন্ত করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। ২জন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।