খুলনা ব্যুরো ঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। এভার কেয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন। নেত্রীর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য দলের পক্ষ থেকে এবং তাঁর পরিবার পক্ষ থেকে বার বার বলা হলেও ফ্যাসিবাদী
সরকার কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। বরং বেগম জিয়ার অসুস্থতাকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করছে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কর্মসুচি বিভাগীয়
সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মঞ্জু বলেন, অবৈধ সরকার সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, গনতন্ত্রের মা, আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে শুধু নয়, তাকে জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠে পরে লেগেছে। মিথ্যা বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে
পরিত্যাক্ত কারাগারে রেখে খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। হাসপাতালে রেখেও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় আজ দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। নেত্রীর মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে
হবে। কর্মসূচি সফল করতে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে বাধ্য করা হবে। তিনি গেল ২২ নভেম্বর বিএনপির মানবিক কর্মসুচিতে পুলিশের নগ্ন হামলা, সিনিয়র নেতাকর্মীসহ শতাধিক নেতাকর্মীর ওপরে পুলিশের তান্ডবের কথা উল্লেখ করে বলেন, ৩০ নভেম্বরের সমাবেশ হবে শতভাগ শান্তিপুর্ণ। পুলিশ প্রশাসনকে সমাবেশ সফল করতে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়ে বলেন, দলের প্রধানের চিকিৎসার দাবিতে, মুক্তির দাবিতে গনতান্ত্রিক আন্দোলনে কেউ বাধা দিলে পরিনাম শুভ হবে না। ৩০ নভেম্বরের সমাবেশ সফল করতে প্রয়োজনে কাফনের
কাপড় পড়ে মাঠে থাকবে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সাবেক সাংসদ মঞ্জু দলের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকারের আহবান জানিয়ে বলেন, অন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তিনি আবারো দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারকে রাজনীতি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে অবিলম্বে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানান। অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির
জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, আবু সাইদ শেখ, শরিফুল ইসলাম বাবু, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন, ডা. ফারুক হোসেন,
শামীম আশরাফ, শাকিল আহমেদ, শফিকুল ইসলাম শফি, শাহাবুদ্দিন, আবু তালেব, শামীম খান, এম এ হাসান, টিপু মুন্সি, কবির হোসেন প্রমূখ।