নিউজ ডেস্ক: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ১৪ টি ট্রাক ও ১৪ টি মোটরসাইকেল নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি। তবে টানা চার দিনের উদ্ধার অভিযানে যানবাহনগুলো উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা।
এদিকে পঞ্চম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফেরি উদ্ধার নিয়ে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এছাড়া পাটুরিয়া ৫নং ঘাটের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। পাটুরিয়ায় থেকে তিন কিলোমিটার এলাকায় দেখা গেছে তীব্র যানজট। রোববার (৩১ অক্টোবর) ঘাট এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ১৪টি যানবাহন উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮টি ট্রাক, ৬টি কার্ভাড ভ্যাক ও চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা গাড়িগুলোর পাটুরিয়া ডার্ক টার্মিনালে রাখা হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া গাড়িগুলো মালিকপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়নি ঘাট কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যানবাহন মালিকরা। পাটুরিয়া-দৌলদিয়ার ৫ নং ঘাট বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ।
পাটুরিয়া নবগ্রাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মজিবর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডের কয়েকটি ডুবুরি দল ও উদ্ধারকারী জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ নির্দেশনা না থাকায় পঞ্চম দিনের মতো উদ্ধার কাজ বন্ধ রয়েছে। নির্দেশনা ফেলে উদ্ধার কাজ চালানো হবে। তবে এখনও দুর্ঘটনায় ডুবে যাওয়া ফেরির ভেতরে বিভিন্ন ধরনের মালামাল রয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ১৪টি ট্রাক ও ১৪টি মোটরসাইকেল নিয়ে রো রো ফেরি আমানত শাহ ডুবে যায়। দৌলতদিয়া থেকে আসার পর পাটুরিয়া ৫নং ঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এতে কোনো যাত্রী বা পরিবহন শ্রমিক নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করে।
এ ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সুলতান আব্দুল হামিদকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ ছাড়া মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।