মীর শাহিবুল ইসলাম: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে শান্তি ও সম্প্রীতি শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। অন্তত কয়েক লাখ নেতাকর্মীকে নিয়ে শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ৷ এতে কার্যনির্বাহী সংসদের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি অংশ নেন দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী।
এর আগে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মাঠ ছাড়বে না। তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপিই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উস্কে দিচ্ছে।
শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা থেকে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ভাঙচুরের বর্বর হামলার ঘটনা। সবশেষ গেল রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতে রংপুরের পীরগঞ্জেও অগ্নিসংযোগ করা হয় অন্তত তিনটি হিন্দুগ্রামে। চালানো হয় মধ্যযুগীয় নির্যাতন।
ধর্মকে পুঁজি করা অপশক্তি যখন দেশব্যাপী এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। তখন প্রতিহতের ডাক দিয়ে মাঠে নামল আওয়ামী লীগ।
খোলা ট্রাকের উন্মুক্ত মঞ্চে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথে এখনও সক্রিয় আওয়ামী লীগ। জবাব দেওয়া হবে প্রত্যেকটি অপকর্মের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। যতদিন না এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষ দাঁত আমরা ভেঙে দিতে পারব। ততদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে, রাস্তায় থাকবে। আওয়ামী লীগ এ অপশক্তিকে মোকাবিলা করবে। তাদের সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারা দেশে প্রস্তুত।
বিএনপির উস্কানিতেই রাজনৈতিক অপশক্তি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ ওবায়দুল কাদেরের৷
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে, আন্দোলনে ব্যর্থ তাই বিএনপি আজকে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উস্কে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।
অন্তত কয়েক লাখ নেতাকর্মীকে নিয়ে শোভাযাত্রাটি গণি রোড ও দোয়েল চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
এদিকে, সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্যরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি থেকে তারা, দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।