নিউজ ডেস্ক: সংবাদ প্রকাশে ক্ষুব্ধ হয়ে পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু ২৫(২), ২৯ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
আসাদ সময় টিভি, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর পাবনা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। গত ৯ জুন ঢাকার বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাবেক ওই এমপি মামলাটি দায়ের করেন, যার নং ২৪৫/২০২১।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) মুঠোফোনে সৈকত আফরোজ আসাদকে অবহিত করলে মামলার বিষয়টি পাবনার গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারেন। মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন পাবনার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকরা বিবৃতিতে বলেন, সাবেক এমপি আরজু খন্দকারের বিরুদ্ধে যে কোন সংবাদ প্রকাশ হলেই তিনি সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। অনৈতিক প্রস্তাবের মাধ্যমে সংবাদ বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তাতে রাজি না হলে মামলা-হামলারও ভয় দেখান। সেই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করে অসত্য অভিযোগে পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধিনতার বিরুদ্ধে তিনি অবস্থান নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি।
যুক্ত বিবৃতিতে সাংবাদিকরা আরো বলেন, আরজু খন্দকার যে সংবাদটি উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেছেন, তা প্রকাশের আগে সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে তার বক্তব্য নিয়ে ওই সংবাদটিতে তা প্রকাশও করা হয়েছে। দেশের মূলধারার অধিকাংশ গণমাধ্যমগুলোতে একই সংবাদ প্রকাশিত হলেও সম্পূর্ণ আক্রোশ বশত কেবল পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদকের বিরুদ্ধেই তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন।
পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, অবিলম্বে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে করা মামলাটি প্রত্যাহার না হলে জেলার সকল সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
বিবৃতি দেওয়া সাংবাদিকরা হলেন- পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর্জা আজাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক কাজী বাবলা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, পাবনার সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, পাবনা টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিজভী জয়, ইয়ং জার্নালিষ্ট ফোরাম এর সভাপতি তারেখ খান, সাধারণ সম্পাদক রনি ইমরান, ডেইলি অবজারভার প্রতিনিধি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নরেশ মধু।
এছাড়াও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, মাছরাঙা টিভির উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো প্রধান উৎপল মির্জা, শীর্ষ নিউজ প্রতিনিধি কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাভিশন প্রতিনিধি আখিনুর ইসলাম রেমন, দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি রুমী খোন্দকার, দৈনিক কালের কন্ঠ ও নিউজ ২৪ এর প্রতিনিধি আহমেদ উল হক রানা, দ্য ডেইলি স্টার প্রতিনিধি আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু, দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি সরোয়ার উল্লাস, দৈনিক জনকন্ঠ প্রতিনিধি কৃষ্ণ ভৌমিক, একুশে টিভির প্রতিনিধি রাজিউর রহমান রুমী, যমুনা টিভির প্রতিনিধি সিফাত রহমান সনম, দৈনিক করতোয়ার প্রতিনিধি ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল, এসএ টিভির প্রতিনিধি কলিট তালুকদার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রতিনিধি খাইরুল ইসলাম বাসিদ, গাজী টিভির প্রতিনিধি ইমরোজ খন্দকার বাপ্পি।