এনএসবি ডেস্ক: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে থানায় মারধর করার ঘটনায় অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯ (১) ধারা মোতাবেক আজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এর আগে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে প্রশাসনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এডিসি হারুন। সেই বাগ্বিতণ্ডা থামাতে ওই প্রশাসন কর্মকর্তার ডাকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীম হাজির হলে তাদেরকে শাহবাগ থানার ভেতরে ঢুকিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। আহতদের একজন হাসপাতালে ভর্তি, অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হারুন অর রশিদকে একদিনে দুবার বদলি করা হয়। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রথমে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক আদেশে তাকে রমনা বিভাগ থেকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) উত্তর বিভাগে বদলি করা হয়। পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে আরেক প্রজ্ঞাপনে এডিসি হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে বদলি করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটার আছে হারুন অর রাশীদের বিরুদ্ধে। খবরের শিরোনাম হয়েছেন কখনও শিক্ষকদের পিটিয়ে, আবার কখনও নারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এমনকি নিজ সহকর্মীকেও চড় মেরে সমালোচিত হয়েছিলেন এডিসি হারুন।