এন এস বি ডেস্ক: ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে। তবে ঠিক কত তারিখে ভোট নেয়া হবে সেই তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শনিবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরুর দিন তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। জনগণ সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড় নির্বাচন কমিশন। নয় লক্ষাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে। এটি রিটার্নিং অফিসারের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা, আমি বলবো বর্ধিত করা হয়েছে এবং দায়িত্বপূর্ণ করা হয়েছে। এটা যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে এসেছেন তাদেরকে দেয়া হবে।সিইসি বলেন, আমাদের সার্থকতা হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলে। এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে ক্রেডিবিলিটি। আমাদেরকে সমন্বিতভাবে চাইতে হবে এবং একটা বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। নির্বাচন কোন সহজ কর্ম নয়। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে নির্বাচন নিযে হায়হুতাশ করতে হয় না। বিশেষ করে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, যেখানে নির্বাচনগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ওরা গণতন্ত্রের একটা বিশেষ অবস্থানে গিয়ে থিতু হয়েছে। ইসি প্রধান বলেন, জনগণ যেখানে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আমি আপনাদের বলব, প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে গ্রহণ করবেন। কোনরকম সংশয় রেখে এখান থেকে বিদায় নিবেন না। নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আইনের মধ্যে থাকলেই সুষ্ঠু এবং ঝুঁকিমুক্ত ভোট করা সম্ভব। শতভাগ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জাতিকে সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। আরেক নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান হাবিব বলেন, কঠিন প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ- এই বাক্য মনে রেখে ভোটের মাঠে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।