সনতচক্রবর্ত্তী: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সাহেবের চরে আতিক পাঠাগারের উদ্যোগে উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ আগষ্ট ) সকালে আতিক পাঠাগারের উদ্যোগে উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।সম্নাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আহসান মাহমুদ রাসেল। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো: আবদুল মোতালেব মিয়া,এ.এইচ.ইসহাক মিয়া,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিনিয়া নাজনীন কল্পনা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ জামসেদ, সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জেল হোসেন, প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ ফয়সাল আলী আদর্শ পাঠাগার ফরিদপুর, প্রধান শিক্ষক চন্দ্রপারা শামসুদ্দীন মাতুব্বর ,মোহাম্মদ ফারুক হোসেন ব্রাহ্মণদ্দী,ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকতা, নিত্ত গোপাল চক্রবর্তী,মোহাম্মদ রাজা মিয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, গ্রাম-বাংলার তৃণমূলের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠাগারটি অমূল্য সম্পদ। পাঠাগারে বসে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকসহ সর্বস্তরের লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি আতিক পাঠাগারের উন্নয়নের জন্য সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করবেন এবং পাঠাগারটির সমৃদ্ধি কামনা করেন।
এই আয়েজনটি নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক
অধ্যক্ষ মো: আবদুল মোতালেব মিয়া বলেন, আতিক পাঠাগারে সব সময় সমাজের কল্যাণে কাজ করে আসছে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির করাল থাবা বর্তমানে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর পড়েছে। তা থেকে রক্ষা পেতে এ ধরনের আয়োজন আরো বেশি বেশি হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।আতিক
পাঠাগারকে ধন্যবাদ এ ধরনের একটি আয়োজনের জন্য। আশা করি, ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের ভালো কাজ অব্যাহত রাখবে। ’
আতিক পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আবদুস ছাত্তার খান বলেন, গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশের পথ সুগম করার চেষ্টাতেই আমি এই পাঠাগারটি স্থাপন করেছি। সকলের উদ্দেশ্যে তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান, ‘নিজে বই পড়ুন, অন্যকে পড়তে বলুন, আপনার সন্তানকে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সচেষ্ট হোন। পাঠাগারকে ভালোবাসুন, পাঠাগারে পড়তে আসুন।’