নওগাঁয় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনাকালে সদ্যপ্রয়াত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য দোয়া চান এক ইমাম। এ ঘটনার পরপর ওই ইমামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়ে পুরনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে নওগাঁ সদর থানা-পুলিশ। এসময় ইমামের সঙ্গে একজন ব্যবসায়ীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ইমামসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পার-নওগাঁ বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি জেলার পত্নীতলা উপজেলায়। অপরজন হলেন- তাজের মোড় এলাকার রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের পার-নওগাঁ তাজের মোড় এলাকার শহীদ মিনার চত্বরে নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে দোয়া মহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারবর্গ, শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন । মোনাজাতের শেষ মুহূর্তে এসে ইমাম সদ্যপ্রয়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে দোয়া চাওয়া শুরু করেন। তখন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা তাঁকে সাঈদীর জন্য দোয়া চাইতে নিষেধ করেন। পরে নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়ে ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান তাঁকে সাঈদীর মৃত্যুতে দোয়া পাঠের জন্য বলেছেন বলে জানান ইমাম। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে মোয়াজ্জেম হোসেন ও হাফিজুর রহমানকে থানায় নিয়ে যায়। পার-নওগাঁ বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক রতন হাজি বলেন, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সদ্যপ্রয়াত দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুতে দোয়া করেছেন ইমাম। ওই ঘটনার পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গেছে। কী মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আজ (বুধবার) দুপুর পর্যন্ত এ বিষয়ে আমরা কিছু জানতে পারিনি।’এ বিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান জানান, ‘পূর্বের একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় সন্ধ্যায় তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। মামলার বাদী পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।’