মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গ প্রিগোজিনের বরাত দিয়ে তাদের প্রতিবেদনে বলেন, রাশিয়া চাইলেই এখন দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা অভিযান বন্ধ করে দিতে পারে। যেহেতু দেশটির সৈন্যরা ইউক্রেনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে।

প্রিগোজিন বলেছেন, ‘বর্তমানে আদর্শ দৃশ্যপট হলো, “বিশেষ সামরিক অভিযানের” সমাপ্তি ঘোষণা করা এবং বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়া যে, রাশিয়া তার নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপর আমাদের যে বিষয়টি করতে হবে তা হলো, এরই মধ্যে অর্জিত ভূখণ্ডে নিজেদের অবস্থান দৃঢ়ভাবে বজায় রাখা।’

পরে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রিগোজিন তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় বলেন, তিনি মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে সৎভাবে যুদ্ধে চালিয়ে যাওয়া এবং পর্দার অন্তরালে কোনো ধরনের সমঝোতা না করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতেই এই মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার ‘ডিপ স্টেট’ এই যুদ্ধকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

এদিকে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চল থেকে সেনা জড়ো করছে বাখমুতে। দেশটি প্রত্যাশা করছে আসন্ন গ্রীষ্মে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার আগেই তারা বাখমুতের দখল নেবে। রাশিয়ার তীব্র আক্রমণের মুখে এরই মধ্যে শহরটির কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছে ইউক্রেনীয়রা।

যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনী এক নিয়মিত বিবৃতিতে বলেছে, দোনেৎস্ক ওব্লাস্তের বাখমুত শহরে নতুন শক্তিতে আক্রমণ করছে রাশিয়া। রুশ সেনাবাহিনী এবং ভাড়াটে ওয়াগনারের সেনারা পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করায় আক্রমণের তীব্র বেড়েছে বেশি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সেনাদের সরবরাহ বাড়লেও তারা কিছু কিছু অঞ্চল থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।