বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৮ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

রাজৈরে ৭ই মার্চ উদযাপনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা

সুজন হোসেন রিফাত, মাদারীপুর প্রতিনিধি
Update : মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩, ৫:৩৪ অপরাহ্ন

সুজন হোসেন রিফাত,রাজৈর প্রতিনিধি মাদারীপুর:  মাদারীপুরের রাজৈরে ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  প্রতিকৃতিতে প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক  সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাধারন মানুষেরা  শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে পরে উপজেলার আছমত আলী খান অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায়  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভাইচ চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা মোস্তফা,  উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সাহাবুদ্দিন সাহা, থানার   অফিসার ইনচার্জ মো আলমগীর হোসেন,   সাংসদ প্রতিনিধি আ ফ ম ফুয়াদসহ প্রমূখ।

উল্লেখ ২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন।লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তান সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার গ্রাম, জয় বাংলা।”তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়।বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, “যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়ব…ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।”

সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা ২০২০ সালের ৭ই অক্টোবর ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host