এ রোগের ক্ষেত্রে কিডনিতে খনিজ জমে। এই খনিজ মূত্রের মাধ্যমে বের হতে না পেরে জটিলতা তৈরি করে। কিডনিতে পাথর হলে পিঠে খুব ব্যথা হয়, সেই ব্যথাটা তলপেটেও আসতে পারে, বমি পেতে পারে এমন কিছু লক্ষণ দেখা যায়।
তবে মাথায় রাখতে হবে যে কিছু খাবার খেলে কিডনির পাথরের সমস্যা বাড়াতে পারে। এবার থেকে সেই সব খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তবেই ভালো থাকতে পারবেন অনায়াসে। এটাই হল মূল কথা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কোন খাবার গুলো খেলে কিডনির পাথরের সমস্যা বাড়াতে পারে। চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক -কামরাঙার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ। এই খাবার নানা ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর। তবে মাথায় রাখতে হবে যে এই ফল কিন্তু কিডনি রোগীদের জন্য ভালো নয়। দেখা গেছে, নেফ্রোটক্সিসিটি এবং অ্যাকিউট কিডনি ডিজিজ হতে পারে এই ফল বেশি খেলে। তাই কিডনিতে পাথর হোক বা কিডনির অন্য কোনো অসুখ থাকলে এড়িয়ে যান এই ফল। তবেই অনায়াসে সুস্থ থাকবেন।

কলায় রয়েছে অজস্র গুণ। এই খাবার অনায়াসে অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। ভিটামিন, মিনারেল ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে এই খাবারে। তাই এই ফল খান নিয়মিত। তবে কিডনিতে পাথর থাকলে এই ফল নয়। এরমধ্যে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে পটাশিয়াম ও মিষ্টি। তাই চেষ্টা করুন এই খাবার কম পরিমাণে খাওয়ার। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। কারণ পটাশিয়াম অনেকসময় শরীর বের করে দিতে পারে না। তখন সেটা কিডনিতে জমে।অ্যাভোকাডোর মতো ফল অনায়াসে অনেক সমস্যা থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে। এতে আছে অনেকটা পরিমাণে ফসফরাস, পটাশিয়াম সোডিয়াম। পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খেলে কিডনির সমস্যা হয়। তখন কিডনি ঠিকমতো খনিজ বের করতে পারে না। তাই এই বিষয়টি প্রথমেই বুঝে নেয়া দরকার। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় জটিলতা কয়েকগুণ বাড়তে পারে।

কমলালেবুখন শীতকাল, বাজারে ছড়িয়ে গিয়েছে কমলালেবু। এই লেবু খেতে পারলে বহু অসুখ কাছে আসতে ভয় পায়। রয়েছে অনেকটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে শুরু করে জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। তবে কমলা বেশি পরিমাণে খাবেন না কিডনিতে পাথর হলে। আসলে এই ফলে রয়েছে পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম কিন্তু আবার ভালো নয় কিডনিতে পাথর হলে। এবার থেকে এ বিষয়টি মাথায় রাখার চেষ্টা করুন। তবেই সুস্থ থাকবেন।

কিউইএটা একটা বিদেশি ফল। এই ফলে রয়েছে নানা গুণ। খেলে অনেক অসুখ দূর করা সম্ভব। কিউইতে থাকে অক্সালেট। এ ছাড়া রয়েছে পটাশিয়াম। কিডনির পাথর বাড়িয়ে দিতে পারে এই ফল। তাই এর থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এভাবেই ভালো থাকবেন।
সূত্র: এই সময়