মোঃ গোলাপ মিয়া লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে আদিতমারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে থেকে কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে চড়কি মাধ্যমে প্রতি রাতে কোটি কোটি টাকার মাদক ও গরু পাচার হয়ে বাংলাদেশে আসছে ।এই সকল পাচার হয়ে আসা গরু বৈধ করতে নেওয়া হয় সীমান্তবর্তী হাটবাজারে। বাজারের ইজারাদারের মাধ্যমে গরু প্রতি ৫০০ টাকা করে রশিদ কেটে বৈধ করে নেন । গরু ও মাদক ব্যবসায়ীগণ সীমান্তের বর্ডার গার্ড বিজিবি অবস্থান বুঝে কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন নদীর নেমে পড়ে নদীর সাথেই উঁচু স্থানে কাঁটাতারের বেড়া অবস্থিত সেখানে চড়কি বসায় একটি চড়কি সাথে ২০ থেকে ২৫ জন পাচার কারী দল কাজ করে থাকেন। শীতকালীন শুরুতেই বেশিরভাগ গরু ও মাদকদ্রব্য পাচার হচ্ছে আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন দুর্গাপুর ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়ন, উল্লেখযোগ্য নিরাপদ স্থান হিসেবে নির্ধারণ করে নিয়েছে পাচার কারি দল দুলালী বাজারে মহিষ তুলি নৌকা পাড়াপার ঘাট হতে লোহাকুচি পর্যন্ত এইটুকু সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার সাথে ২০/২৫ টি চড়কি বসিয়ে গরু ও মাদক পাচার করে আসছে । উক্ত স্থানে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে প্রত্যেক বছরেই বিএসএফের গুলিতে এক থেকে দুজন নিহত হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। শীতের শুরুতে গরু পাচার শুরু হয়েছে এখনো পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।গত এক মাস ধরে যে সকল গরু পাচার হয়ে বাংলাদেশে আসছে । পাচার কারী দল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তের কাঁটা তারা বেড়ার উপর দিয়ে চরকি বসে প্রতি রাত্রে গরু সহ মাদক পাচার করে আসছে। গরু পাচার ও মাদকদ্রব্য পাচারকারী একাধিক ব্যক্তি সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন মাদক পাচার করে না গরু পাচার করে যে রাতে কুয়াশা ও অন্ধকার বেশি সেই রাতে গরু পাচার হয় বেশি তবে বর্ডার গার্ড বিজিপি অবস্থান বুঝে তারা সীমান্তে কাজে নেমে যায়, উক্ত কাজের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তি ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার করে পায় । গরু পাচার করার কাজে বিভিন্ন ধাপে তাদের লোক নিয়োগ করা রয়েছে ।গরু পাচার করেন একটি গ্রুপ বিক্রয় উদ্দেশ্যে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন একটি গ্রুপ। বিক্রয় করে ও রশিদ কেটে বৈধ করে দেয় একটি গ্রুপ এই সকল লেনদেন হয়ে থাকে বেশিরভাগ বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন মহল ও সচেতন ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে জানা যায় উল্লেখিত পাচারকারী দলের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে পারলে তাহলে গরু পাচার ও মাদক পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবে। সীমান্তবর্তী সচেতন মহল ও জনপ্রতিনিধ ব্যক্তিগণ বলেন উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলে বিএসএফের গুলি হতে রক্ষা করা সম্ভব হবে।