ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল কংগ্রেসের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন মল্লিকার্জুন খার্গ। তার কাছে নির্বাচনে হেরে গেছেন কংগ্রেসের শক্তিধর নেতা শশী থারুর। হেরে গেলেও তিনি বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শশী থারুর বলেছেন, দলের ভিতরে সত্যিকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবেমাত্র শুরু হলো। দলীয় নতুন প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খার্গ সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি দলীয় একজন সহকর্মী এবং সিনিয়র নেতা। তিনি যথেষ্ট নেতৃত্ব এবং অভিজ্ঞতা সামনে নিয়ে এসেছেন। একই সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন মল্লিকার্জুনের সঙ্গে। মল্লিকার্জুনের সঙ্গে তাকে হাসিখুশি দেখা গেছে। তিনি মল্লিকার্জুনের হাত নিজের হাতে নিয়ে হাসিমুখে তা উপরে তুলে ধরেছেন- এমন ছবি প্রকাশিত হয়েছে মিডিয়ায়। দলের নতুন প্রধান নির্বাচিত হওয়ায় মল্লিকার্জুনের দিল্লির বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন কংগ্রেসের হাল ধরে রাখা সোনিয়া গান্ধী ও তার মেয়ে প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র। এ সময় তারা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সোমবার অনুষ্ঠিত দলীয় ভোটে শতকরা ৯০ ভাগ ভোট পেয়েছেন মল্লিকার্জুন খার্গ। নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ৭৮৯৭ ভোট। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর পেয়েছেন ১০৭২ ভোট। এর মধ্য দিয়ে কমপক্ষে ২৪ বছরের মধ্যে কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে প্রথম দায়িত্ব নিচ্ছেন এমন একজন, যিনি গান্ধী পরিবারের নন। তাকে দেখা হয় ‘গান্ধী-অনুমোদিত’ প্রার্থী হিসেবে। এর আগে রাহুল গান্ধী এ পদ ত্যাগ করেন। তারপর তিন বছর আগে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী অস্থায়ীভিত্তিতে দলকে নেতৃত্ব দিতে রাজি হন। আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লি থেকে দলীয় প্রধান নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে দলে নিজের ভূমিকা কি হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন নেন রাহুল গান্ধী। তিনি অন্ধ্র প্রদেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলছিলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে আরও বলা হয়, মল্লিকার্জুন খার্গকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণার প্রায় আধা ঘন্টা আগে কংগ্রেসের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি প্রশ্নোত্তরে মল্লিকার্জুন খার্গ এবং অন্তর্বর্তী দলীয় প্রধান সোনিয়া গান্ধীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, দলে আমার ভূমিকা কি হবে সে সিদ্ধান্ত নেবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। খার্গ-জিকে জিজ্ঞেস করুন এবং সোনিয়া জিকে জিজ্ঞেস করুন।
মল্লিকার্জুন খার্গের পুরো নাম মাপান্না মল্লিকার্জুন খার্গ। তার মূল বাড়ি কর্নাটকে। তবে গান্ধী পরিবারের প্রতি তিনি সর্বাধিক অনুরক্ত। তার বয়স এখন ৮০ বছর। দলীয় প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর তার বাড়ির বাইরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সমবেত হয়ে সেলিব্রেট করছেন। উল্লাস করছেন।