সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

মানবাধিকার কাউন্সিলে নিরঙ্কুশ জয় বাংলাদেশের

Reporter Name
Update : বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৫০ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত মর্যাদাপূর্ণ ওই পর্ষদের ভোটাভুটিতে ১৬০ ভোট পেয়ে  ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।  এতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আরও ৩টি দেশ বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনে ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের ভোটাধিকার থাকলেও ১৮৯ সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিয়েছে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলের ৪টি আসনের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। বিজয়ী অন্য তিন দেশ হলো- মালদ্বীপ (১৫৪ ভোট), ভিয়েতনাম (১৪৫ ভোট) ও কিরগিজস্তান(১২৬ ভোট)। নির্বাচনে এ অঞ্চলের মোট ৬টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করে। যার মধ্যে হেরে যাওয়া আফগানিস্তান ছিল কাগজে-কলমে (পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়)। তবে ১২ ভোট পেয়েছে দেশটি। দক্ষিণ কোরিয়া শেষ পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিল।মেসিভ ক্যাম্পেইনও ছিল তাদের। কিন্তু ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। হেরে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়া মোট ভোট পেয়েছে ১২৩টি।
ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ জিতবে এটা আগেই ধারণা করা হয়েছিল, কিন্তু বাহরাইন শেষ সময়ে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোয় জয়ের পথ কেবল প্রশস্তই হয়নি বরং এটা ভোটের ব্যবধান বাড়িয়েছে।
ঢাকা ও নিউ ইয়র্কের কর্মকর্তারা বলছেন, শুরু থেকেই মালদ্বীপের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস পাওয়া যাচ্ছিলো। ভোটের ফলাফলেও তার প্রতিফলন রয়েছে। মালদ্বীপ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে। কারণ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদ্য সাবেক সভাপতি ছিলেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ। তার একটা ইনফ্লুয়েন্স বরাবরই কাজ করেছে।
সেগুনবাগিচার এক কর্মকর্তা বলেন, খুব সহজেই বাংলাদেশ নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়েছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। কেননা মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের জয়টা ছিল চ্যালেঞ্জের। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন থাকার বিষয়টি প্রতিদ্বন্দ্বীরা ক্যাম্পেইনকালে নেগেটিভভাবে উপস্থাপন করতে পারে এমন ভয় ছিল ঢাকার। কিন্তু ফলাফল বলছে শেষ পর্যন্ত তা বাংলাদেশের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
কর্মকর্তাদের মতে, হাই ভোল্টেজ ওই নির্বাচনে প্রার্থীর বিচারে  শুরু থেকেই সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। বাহরাইন সরে দাঁড়ানোর কারণে মধ্যপ্রাচ্যের ভোটগুলো বাংলাদেশের পক্ষে আসে অনায়াসে। এক কূটনীতিকের ভাষ্যমতে, চ্যালেঞ্জ থাকায় শুরু থেকেই বাংলাদেশ ভালো প্রচারণা চালিয়েছে। ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট মানবাধিকার পরিষদে এটা বাংলাদেশের পঞ্চম মেয়াদে জয়। এর আগে ২০০৬, ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে পরিষদের সদস্য ছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৭৭ ভোট পেয়েছিল বাংলাদেশ। সে হিসেবে এবারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেলো বিগত নির্বাচনের তুলনায় ১৭টি ভোট কমেছে বলে মনে করে সেগুনবাগিচা।
মানবাধিকার পরিষদের ভোটাভুটি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আগেই  গণমাধ্যমকে বলেন, ভোটাভুটিতে আমরা বিশ্বাস করি, আমরা জিতবো। কারণ আমরা পৃথিবীতে মানবাধিকারের ব্যাপারে বড় সোচ্চার দেশ। সবসময় আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, মানুষের মানবিক অধিকারের জন্য সংগ্রাম করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host