শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে এক মতবিনিয়ময় সভায় এ দাবি জানান মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
দেশের আমদানি করা পণ্য কিংবা কাঁচামালের সিংহভাগই চীন ও ভারত থেকে আসে। এর মধ্যে চীন থেকে বছরে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়। এ ছাড়া ভারত থেকে আসে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিপরীতে এ দুটি দেশে বাংলাদেশের রফতানি আয় এখনও তিন বিলিয়ন ডলারের নিচে।
সাম্প্রতিক তীব্র ডলার সংকটের কারণে চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্যে বিকল্প মুদ্রা হিসেবে ইউয়ান লেনদেনের অনুমোদন দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রুপির ব্যবহারের প্রস্তাব দিলেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে এমসিসিআইয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে আমরা ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করি। এর মধ্যে এক-চতুর্থাংশও যদি রুপিতে করা হয়, তাহলে চার বিলিয়ন ডলার বাঁচবে। এতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে। আমরা চাই অন্তত ছয় মাসের জন্য রিজার্ভ থাকুক।’
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ট্রেড লাইসেন্স পেতে নানা ভোগান্তি ও ঘুষ বাণিজ্যের কথা তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থা দূর করতে দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার দাবিও জানান তারা।
এ প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে দেখা যায়, এক বছরের নবায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতেই পরের বছরের জন্য আবার নবায়নের সময় চলে আসে। তা ছাড়া এসব প্রক্রিয়ায় ঘুষ-দুর্নীতি রয়েছে। তাই আমরা বারবার বলে আসছি, ট্রেড লাইসেন্স ৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদে যেন দেয়া হয়।’
অনুষ্ঠানে বৈদেশিক বাণিজ্যে লজিস্টিক সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়। এতে ৭ শতাংশের মতো বাণিজ্য বাড়বে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।