মশাদের খুঁজে বের করতে এবার ড্রোন নিয়ে মাঠে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। প্রথম দিন তিনটি দলে ভাগ হয়ে যেখানে পানি জমেছে বা লার্ভা জন্মাতে পারে এমন ছাদ চিহ্নিত করতে কাজ করছে। উত্তর সিটি বলছে, ডেটাবেজ সংরক্ষণ ও একই সঙ্গে অনেকগুলো ছাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণে এ পদ্ধতি ভালো কাজ করবে। এ কার্যক্রম ইতিবাচক হিসেবে দেখছে নগরবাসী।
মশা মারতে কামান দাগানো’ এই প্রবাদ হয়তো কমবেশি সবাই শুনেছেন। তবে এবার মশার আস্তানা খুঁজে বের করতে ড্রোন ব্যবহার করছে উত্তর সিটি করপোরেশন। ড্রোন উড়িয়ে ছবির মাধ্যমে দেখা হচ্ছে কোনো ছাদে পানি জমে আছে কি না। কিংবা কোথাও লার্ভার অস্তিত্ব নজরে আসে কি না। পাশাপাশি নগরবাসীকে সতর্ক করতে বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট, চলছে মাইকিং।
এছাড়া নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ফগিং, ড্রেন পরিষ্কার অব্যাহত আছে। লার্ভা দমনে জলাশয়ে ছাড়া হয়েছে গাপ্পি মাছও। সিটি করপোরেশনের তৎপরতায় সচেতনতা বাড়ছে নাগরিকদেরও।
স্থানীয়রা বলছেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশা মারতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা ভালো উদ্যোগ বলে মনে করি। এর মাধ্যমে কয়েকটা ভবনের ছাদ একসঙ্গে দেখা যায়। এ উদ্যোগের কারণে নগরবাসীও সচেতন হচ্ছে।
প্রথম দিনে তিনটি টিম উত্তর সিটির তিনটি এলাকায় ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে। পানি জমে থাকায় সতর্ক করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ির মালিককে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জোবায়দুর রহমান বলেন, জরিপ অনুযায়ী অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হবে। তাই আমরা এটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আর সে হিসেবেই কাজ করছি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০ দিনব্যাপী এই ড্রোন অভিযান চলবে। পরে ডেটা সংরক্ষণ করে নেয়া হবে ব্যবস্থা।