ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইকোর্ট এলাকায় ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের ফের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। হাইকোর্টের প্রাঙ্গণে ঢুকে ছাত্রদলের নেতাদের বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন ছাত্রদল নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ দুপুর ১২টার দিকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে মিছিল বের করে ছাত্রদল। এতে সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরের কাছাকাছি আসতেই মিছিলটি ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। ছাত্রদলের আসার খবর পেয়ে সেখানে আগে থেকেই আশপাশের বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে অবস্থান নিয়েছিল। এ সময় তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পিছু হটে ছাত্রদল।ছাত্রলীগ-ছাত্রদল উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের হাতেই হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র দেখা যায় দেখা যায়। তাঁদের হাতে ইটের টুকরোও দেখা যায়। এ ছাড়া ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীর মাথায় হেলমেট দেখা যায়।তাদের কারো হাতে হাতে রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রও দেখা যায়।
ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ার আগে দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। এসময় শটগান হাতে ছাত্রলীগের হাতে এক কর্মীকে গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। ছত্রভঙ্গ হয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ও হাইকোর্টের ভেতরে অবস্থান নেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও অন্যান্য ইউনিট থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একটি অংশকে লাঠিসোটা নিয়ে হাইকোর্ট চত্বরে ঢুকতে দেখা যায়। এসময় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকে বেধড়ক পিটুনি দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের এক প্রতিনিধির ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করে ছাত্রলীগ। হাইকোর্টের এক আইনজীবীকেও পেটানোর অভিযোগ ওঠে সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।ঘটনাস্থলের পাশে পুলিশের বড় একটা টিম উপস্থিত থাকলেও সংঘর্ষ থামাতে তাদের কোন ধরনের তৎপরতা চোখে পড়েনি।
ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের প্রবেশ ঠেকাতে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অবস্থান ছিল সকাল থেকেই। মোটরসাইকেল মহড়া দিতেও দেখা যায় তাদের। দুপুর ২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।