রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে সরকারী চাকরির আশ্বাস পেয়ে অনশন ভেঙেছেন ঝিনাইদহের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ঢাবির শিক্ষার্থী শাহীন আলম। গত সোমবার (৯ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দীর্ঘ প্রায় ১৩ ঘন্টাপর ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা পানি পান করিয়ে তার অনশন ভাঙান।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীীয় শহীদ মিনারের পাশে আমরণ অনশনে বসেছিলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী চাকরী প্রত্যাশী এই শাহীন আলম। একটি চাকরির নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত এক ফোটা পানিও পান করবেন না বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনারের পাশে একটি ব্যানার টাঙিয়ে বসে আছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শাহীন আলম। সেখানে লেখা ছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী একজন তীব্র মাত্রার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির কর্মসংস্থানের দাবিতে আমরণ অনশন’। নিচে তার নাম লেখা।
মাইক্রোফোন হাতে চাকরির দাবি জানাচ্ছিলেন শাহীন আলম। বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করছেন কিন্তু প্রতিবন্ধী হওয়ায় চাকরি পাচ্ছেন না। যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি একটি চাকরি চান।
শাহীন আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
২০১৫ সালে এইচএসসি পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হন। ২০১৯ সালে অনার্স শেষ করেন। বর্তমানে তিনি মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র।
লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশের পর আমাদের নজরে আসে। পরে শাহীন আলমকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তখন তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সরকারি চাকরির নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন। পরে রাত ৯টার দিকে আমি গেলে আমার কাছেও বলেন সরকারি চাকরির নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তিনি অনশন ভাঙবেন না । পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে তিনি রাতে অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন ।
শাহিন আলম বলেন, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম আশ্বাস দিয়েছেন একটি সরকারী চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। এজন্য আমি আমরণ অনশন আপাতত স্থগিত করেছি। চাকরি না পেলে আবারও অনশনে বসবেন বলে তিনি জানান।
