মৃতরা হলেন- মাঝিহট্ট ইউনিয়নের দামগারা কারিগর পাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মো. সবুজ (২১) ও পাশের গ্রামের মাসিমপুর চালুঞ্জা তালুকদারপাড়া মো. রাজ্জাকের মেয়ে মার্জিয়া জান্নাত (১৯)।
পুলিশ ও সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে দিনমজুর সবুজের সঙ্গে কলেজছাত্রী জান্নাতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায় ছয় মাস আগে প্রথম তারা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিল। জান্নাতের পরিবার ঘটনাটি জানার পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের তালাক করায়। এরপর চলতি মাসের প্রথম দিকে স্থানীয় এক প্রবাসী যুবকের সঙ্গে মুঠোফোনে জোরপূর্বক জান্নাতের বিয়ে দেয় পরিবার। তবে সেই বিয়েতে জান্নাতের সম্মতি ছিল না। সোমবার জান্নাত ও সবুজ আবারও পালিয়ে বিয়ে করেন।
প্রেমের বিয়ে আবারো জান্নাতের পরিবার মেনে না নেওয়ায় সবুজ তার নববধূকে নিয়ে নিজ বাড়িতে আশ্রয় নেন। সন্ধ্যার দিকে জান্নাতের পরিবারের লোকজন সবুজের বাড়ি থেকে তাকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরে রাতে নবদম্পতি মুঠোফোন কথা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে জান্নাত তার স্বামী সবুজকে মুঠোফোনে রেখে হঠাৎ কীটনাশক পান করেন। মুঠোফোন চালু থাকায় সবুজ বুঝতে পারেন জান্নাত আর বেঁচে নেই। এরপরেই তিনি নিজ ঘরে সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
শিবগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন জানান, তাদের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।