মোঃ শাহানুর আলম, স্টাফ রিপোর্টার- দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে প্রার্থী হওয়ায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন থেকে ৩৫জনকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। গত রবিবার প্রকাশিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ আঃ রশীদ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৪র্থ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ ১৫টি ইউনিয়নে নভেম্বরের ২১ তারিখ মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। ৬ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দলীয় সতর্কতা ও নির্দেশ উপেক্ষা করে সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৩৫ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছন। ১ নং সাধুহাটি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজির উদ্দিন,২ নং মধুহাটিতে আলতাফ হোসেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েল ও তহুরুল ইসলাম, ৪ নং হলিধানীতে এনামুল হক নিলু,ফাতিমা খাতুন, নুর এ আলম বিপ্লব, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ মিয়া, ৫নং কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নে সাহিদুর রহমান সন্টু, সিরাজুল করিম, ৬ নং গান্না ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিতা,ময়নাল হোসেন,৭ নং মহারাজপুরে আবু বকর, বর্তমান চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম, ৯ নং পোড়াহাটিতে মোঃ আশরাফ আলী, মোঃ বদিউজ্জামান, ১০ নং হরিশংকরপুরে খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ, ১১ নং পদ্মকরে বিকাশ বিশ্বাস,১২ নং দোগাছিতে আব্দুল মান্নান, গোলাম কিবরিয়া কাজল, জাহাঙ্গীর আলম শিবলী, ফয়েজুল্লাহ ফয়েজ, সিরাজুল ইসলাম, ১৩ নং ফুরসুন্ধি ইউনিয়নে আবু সাইদ শিকদার, ১৪ নং ঘোড়শালে তিতাশ বিশ্বাস, জাহিদুল ইসলাম, ১৫ নং কালীচরণপুর ইউনিয়নে এনামুল বিশ্বাস, কাইয়ুম হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, ১৭ নং নলডাঙ্গায় মোলায়েম খান, বর্তমান কবির হোসেন, রবিউল ইসলাম, সাইফুল আলম, মোঃ রাকিবুল ইসলাম লিমন কে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ আঃ রশীদ বলেন, শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই ভোট করবে। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক নেতা আছেন যারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে গোপনে কাজ করছেন, তাদের সহায়তা করছেন। নৌকার প্রার্থীরা অভিযোগ দিলে আমরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহায়তাকারিদের বিপক্ষেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।