বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

নড়াইলে ছাত্রলীগ নেতা চয়ন হত্যার ২১বছর পর পূণর্বিচার দাবি

রেজাউল হক নড়াইল জেলা প্রতিনিধি
Update : রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ৭:১৪ অপরাহ্ন

রেজাউল হক নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:  ৯০ এর গণআন্দোলনে বিএনপি-জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন ছাত্রলীগ নেতা শহীদ চয়ন মল্লিক। গণআন্দোলণে চয়ন মল্লিকসহ মানিক সাহার বিশেষ ভূমিকা থাকার কারণে বিএনপি-জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা চয়ন মল্লিককে সদর উপজেলার আউড়িয়া এবং নড়াইল পৌর সভার হাটবাড়িয়া খেয়াঘাটের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যা মামলার পুণর্বিচার দাবি করেছে ৯০ এর গণঅন্দোলন সহযোদ্ধা,জেলা ছাত্রলীগ এবং মানিক চয়ন স্মৃতি সংসদের নেতৃবৃন্দ।গত শনিবার ১৬ অক্টোবর দুপুরে চয়ন মল্লিকের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ চত্বরে স্থাপিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে নেতৃবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে এই দাবি করেন।
দিবসটি পালনে তাঁর সহযোদ্ধা,জেলা ছাত্রলীগ এবং মানিক-চয়ন স্মৃতি সংসদ দিনব্যাপী এক কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ,এক মিনিট নীরবতা,বিক্ষোভ মিছিল এবং স্মরণ সভা,সন্ধ্যায় দ্বীপশিখা প্রজ্জলন।
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন,৯০ এর গণ আন্দোলনের সদস্য ও সাবেক আবু ফেরদৌস মিলন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো.সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য দেন,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী বশিরুল হক,মো.ফরহাদ হোসেন,কামরুজ্জামান খান তুহিন,হাফিজ খান মিলন,রানা,মহিদুর রহমান,দীপক বোস,সোনা সাহা,জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি শাহরিয়ার মীম,সাধারণ সম্পাদক মো.রকিবুজ্জামান পলাশ প্রমুখ।
৯০ এর গণআন্দোলণের কয়েকজন নেতা জানান,বিএনপি-জামাত-শিবিরের অত্যাচারে দেশ যখন উত্তাপ,তখন নড়াইলে গড়ে ওঠে সরকার পতনের গণআন্দোলন। চয়ন মল্লিক এবং মানিক সাহা ছিল আন্দোলনের অগ্রভাগে। বিএনপি-জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে ছাত্রলীগের সদস্যরা তখন শহর ছেড়ে গ্রামে পালিয়ে জীবন বাঁচায়। চয়ন মল্লিক আউড়িয়া ইউনিয়নে গা-ঢাকা দিয়ে থাকে। বাসায় ফিরে আসার জন্য চয়ন মল্লিক ১৯৯১ সালের ১৬ অক্টোবর চিত্রা নদীর আউড়িয়ার ঘাটে বসে ছিল। বিএনপি-জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা খবর পেয়ে তারা চয়নকে কুপিয়ে আহত করে। জীবন বাঁচাতে চয়ন মল্লিক নদীতে ঝাপ দেয়। নদীতে নেমে ওই সন্ত্রাসীরা তাকে পুনরায় কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এলাকার মানুষ তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চয়ন হত্যা মামলার বাদী হন তৎকালীণ ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রলীগের ভিপি মো.জাহাঙ্গীর আলম। রাজম্বাক্ষী হন ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সহ-সভাপতি আবু ফেরদৌস মিলন। মামলায় ১৭ জনকে আসামী করা হয়।
 চয়ন মল্লিক হত্যা মামলার রাজসাক্ষী ছাত্রলীগ নেতা আবু ফেরদৌস মিলন জানান,মামলা চলাকালে বিএনপির তৎকালীণ মন্ত্রী মো.তারকুল ইসলাম মামলাটি নড়াইল আদালত থেকে যশোর আদালতে স্থানান্তর করেন। দলের পক্ষ থেকে মামলাটি পরিচালনা না করায় এক পর্যায়ে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host