রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শৈলকুপা রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটি গঠন সভাপতি আলমগীর অরণ্য , সাধারণ সম্পাদক টিটো মিজান মাদারীপুরে ডাকাত কামাল পহলান ওরফে সিএনজি কামাল (৪৩) আটক নৌকার মাঝি নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী শৈলকুপা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাকিল আহম্মেদ এর মতবিনিময় ফরিদপুরের মধুখালীতে পানিতে ডুবে নিখোঁজ ১ জন মাদারীপুর জেলা র কবিরাজপুর ছইফউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ এ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা হরিণাকুণ্ডুতে এক দশক ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নতুন ভবন ঝিনাইদহ সদরে মাসুম এবং কালীগঞ্জে শিবলী নোমানী চেয়ারম্যান নির্বাচিত রাজৈরে মহিলা মেম্বার ও নারী নেত্রীকে মারধরের অভিযোগ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ নির্বাচনে বাঁধা নেই
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

জিয়ার লাশ রহস্য উন্মোচন করতে পারেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী

Reporter Name
Update : বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:০৯ অপরাহ্ন

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে লাশ গুমের পুরো রহস্যের জট উন্মোচনে সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মূল ভূমিকা রাখতে পারেন। ৪০ বছর আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের সময় জিয়াউর রহমানের পাশের কক্ষে ছিলেন বি চৌধুরী। এমনকি ঢাকায় অনুষ্ঠিত জানাজায়ও অংশ নেননি, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর চন্দ্রিমা উদ্যানের কবর জিয়ারতেও যাননি তিনি। এমনটাই বলছেন সে সময়ের প্রত্যক্ষদর্শীরা।

১৯৮১ সালের ৩০ মে রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অবস্থানকালীন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সবশেষ সাক্ষাত করেন তৎকালীন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তার দাবি, জিয়াউর রহমানের পাশের কক্ষে ছিলেন তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী ডাক্তার বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এমনকি বি চৌধুরীর কক্ষে বিপথগামী সেনা সদস্যরা গুলি করে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেই গুলি ছিল কক্ষের ভেতর থেকে।

 
তিনি বলেন, বি চৌধুরী পাশের রুমেই ছিলেন। গুলির পর লাশ পড়ে ছিল। সেটাও নাকি তিনি দেখেন নি। উনি লাশ দেখতে পেলেন না কেন? না দেখেই ওখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। তাই আমি মনে করি বি চৌধুরীর সেদিনের আচরণ ছিল সন্দেহজনক।
 
অভিযোগ রয়েছে, জিয়াউর রহমানের গুলিবিদ্ধ লাশ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সিঁড়িতে পড়ে থাকা অবস্থায় বি চৌধুরী তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বি চৌধুরী মন্ত্রী এবং ২০০১ সালে রাষ্ট্রপতি হন। জিয়াউর রহমানের মরদেহের পরিণতি জেনেই বি চৌধুরী জানাজায় যেমন অংশ নেননি, তেমনি চন্দ্রিমা উদ্যানের কবরও জিয়ারত করেননি বলে দাবি মুক্তিযোদ্ধা সিরু বাঙালির।
তিনি বলেন, জিয়ার লাশ ঢাকায় নিয়ে যাবার পর বি চৌধুরী জানাজা পড়েন নি। লাশও দেখতে যান নি। যেহেতু জিয়ার লাশ সেখানে ছিল না, তাই কাউকে এই লাশ দেখতেও দেওয়া হয়নি। ওই বাক্সের ভেতর কী ছিল, কেউ জানে না।
 
তবে বি চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাবেক এই বিএনপি নেতা এবং চাকসুর জি এস মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলছেন ভিন্ন কথা।
 
তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে তিনি তো ভীতও হয়েই থাকার কথা। প্রতিরোধ করার কোনো সুযোগও উনার ছিল না।
 
সে সময়ের সংশ্লিষ্টদের মতে,  চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে রাঙ্গুনিয়া যাওয়ার আগেই জিয়াউর রহমানের মরদেহবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পরে হালদা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কয়েকদিন পর রাঙ্গুনিয়ার একটি পাহাড়ি অঞ্চল থেকে মাটি চাপা দেওয়া সামরিক পোশাক পরিহিত কয়েকজনের লাশ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে একটি জিয়াউর রহমানের বলে দাবি করা হয়।সূত্র: সময় টিভি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host