গত ৫ বছরে কোনো প্রশ্নফাঁস হয়নি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, যা হয়েছে তাহলো সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো। প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় দেশের ৮ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের পর প্রশ্নফাঁসের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরীক্ষা এলেই একটি শ্রেণি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে। এদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনাও দেন শিক্ষামন্ত্রী।এর আগে নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রায় সব পরীক্ষার্থীই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। আর যারা একটু দেরিতে আসেন, তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ রেজিস্টারে লিখে নিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে। প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী, একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হবে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেয়া হবে। এর আগে প্রশ্নফাঁস রোধে ১৪ আগস্ট থেকে ৪৩ দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় সব ধরনের কোচিং সেন্টার। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৪ আগস্ট থেকে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে গত কয়েক বছরের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হয়। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।