ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে পৃথক স্থান থেকে অমিতাভ সাহা ও গোকুল চন্দ্র নামে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন ধোপাঘাটা ব্রীজের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে অমিতাভ সাহা ও কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকা থেকে গোকুল চন্দ্র’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ধোপাঘাটা পুরাতন ব্রীজের সামনে টার্মিনাল সড়কের রাস্তার পাশে ঝোঁপের মধ্যে বস্তাবন্দি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে অমিতাভ সাহার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
অমিতাভ সাহার স্ত্রী তৃষা নন্দি জানান, তারা মাগুরার বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা। মাগুরা কোর্টের মধ্যে তার স্বামীর একটা দোকান ছিল। গত ৩১ আগস্ট থেকে তার স্বামী নিখোঁজ ছিল। রোববার সকালে শুনেন তার স্বামীর মরদেহ ঝিনাইদহের ধোপাঘাটা এলাকায় পাওয়া গেছে। তিনি জানান, তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি স্বামী হত্যার বিচার চান।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবিদুর রহমান এবং সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, মুখে পলিথিন মোড়ানো ও বস্তাবন্দি ছিলো মরদেহটি। ওই যুবককে অন্য কোথাও হত্যা করে ঘটনাস্থলে লাশ ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
অপরদিকে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকার একটি তেলপাম্পের পাশের মাঠের মধ্যে বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় গোকুল চন্দ্র নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। গোকুল চন্দ্র ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার জীবন চন্দ্র কর্মকারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে তেলপাম্পের পাশের মাঠের মধ্যে বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান জানান, ওই যুবক মানসিক প্রতিবন্ধী। পরিবারের সাথেও কোন যোগাযোগ ছিলো না। বিভিন্ন আশ্রমে থাকতো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। হত্যার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তারপরও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।