পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরে ভান্ডারিয়ায় সাদিয়া আক্তার মুক্তা নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও গুমের অভিযোগে স্বামী ও শ্বাশুরী সহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে ভান্ডারিয়া পৌর এলাকার টিএন্ডটি রোড়ে অভিযান চালিয়ে শ্বাশুরীসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ বলে জানান ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান। নিহত গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার মুক্তা (২৮) জেলার ভান্ডারিয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মুনিম জমাদ্দারের স্ত্রী এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজিবুর রহমান মুন্সির কন্যা।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মুক্তার স্বামী মুনিম জমদ্দার, শ্বাশুরী ছবি আক্তার এবং সহযোগী শাকিব খন্দকার, মারুফ ও সিয়াম খান সজিব নামের ৫ জনকে আটক করেছে। প্রধান অভিযুক্ত মুনিম জমাদ্দার ভান্ডারিয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়ক এলাকায় মামুন জমাদ্দারের পুত্র।
নিহতের পিতা মজিবুর রহমান মুন্সি জানান, ভান্ডারিয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মামুন জমাদ্দারের ছেলে মুনিম জমাদ্দার বছর খানেক আগে মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করে। কয়েক দিন আগে পারিবারিক কলহের কারনে মুক্তাকে তার স্বামী মারধর করে। এ ঘটনার পর মুক্তা তার বাবার বাড়ি চলে আসে। শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে মুনিম গিয়ে মুক্তাকে নিয়ে যায়। পরে সে মুক্তাকে নিয়ে ভান্ডারিয়ার চেচরী রামপুর ব্রীজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মুনিমের বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব উপস্থিত হয়। তাদের সহযোগীতায় হিজাব পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে কাছে থাকা বেরীবাঁধের পাশে লাশ ফেলে রাখে। ঘটনাটি মুনিম তার মা ছবি আক্তারকে জানালে ছবি সেখানে লাশ দেখতে যায় এবং সেখান থেকে লাশ এনে ভান্ডারিয়ার কানুয়া গ্রামের একটি ইট ভাটার পাশে কচুরীপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান জানান, রাতে অজ্ঞাত নামা একটি ফোন থেকে হত্যা ঘটনা জানর সাথে সাথে তিনি সহ থানা অফিসার পুলিশও ফায়ার সার্ভিসের লোক নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রকৃয়াধীন আছে।