মোঃ শাহানুর আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ সারাদেশে ম্যাটস ও ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে আগস্টের ২৬ তারিখ পর্যন্ত। ঝিনাইদহের আইএইচটিতে এবছর আসন সংখ্যা ৩২৭ জন। ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে। ভর্তি বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ছাত্র জানিয়েছে শিক্ষক কার্তিক গোপাল বিশ্বাস ও উচ্চমান সহকারী আলাউদ্দিনের মধ্যে রবিবার হাতাহাতি হয়। তার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে কোয়ার্টারে তিনি ফোন বন্ধ করে বসে আছেন। প্রশাসনিক ভবনে তার কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারা জানান এই ভর্তি বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়েই দ্বন্দ্ব। কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাঃ তানভীর আহমেদ চৌধুরী, ডাঃ জাহিদুল হাসান ,ডাঃ রুবিনা, ডাঃ ফয়েজ আহমেদ ফয়সাল, ডাঃ বিশ্বনাথ সরকার, ডাঃ ফারহানা শারমিন, কার্তিক গোপাল বিশ্বাস, নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস, মোঃ মাহমুদুল হাসান তিতাশ, মোঃ সরফরাজ খান, মোছাঃ নুরুন নাহার কে দিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে ভর্তি সংক্রান্ত। প্রতিষ্ঠানের হলরুমে দেখা যায় মি. কার্তিক গোপাল বিশ্বাস ভর্তির আবেদন পত্র যাচাই-বাছাই করছেন। এবং নগদ টাকাও তিনি রাখছেন। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষক সাংবাদিকদের জানান, অগ্রনী ব্যাংকে ভর্তির জন্য ১৮ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়। এখানে নগদ টাকা গ্রহণ করা হয় না। কার্তিক গোপাল বিশ্বাস কিসের টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন ফান্ডের টাকা হতে পারে। আলাউদ্দিনকে ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের নামে বরাদ্দ কোয়ার্টারে পাওয়া যায়। দুপুর ১ টার দিকে এই কোয়ার্টারে ডাইনিং টেবিলে বসে খাওয়া দাওয়া করছিলেন। তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ ছিল। খালি গাইয়েই তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। কল রেকর্ডিংয়ে সজীব নামের এক ছেলের কাছে ভর্তির জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নই। অধ্যক্ষের কোয়ার্টারে আপনি বসবাস করছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, প্রিন্সিপাল নিজেই তাকে থাকতে দিয়েছেন। তিনিই বলতে পারবেন। ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোজিতে, ঝিনাইদহে কিছু দিন আগে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেছেন ডাঃ তানভীর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বিশেষ কাজে ঢাকায় আছেন। তাকে মোবাইলে এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল কল কেটে দেন। এবং পরে আর রিসিভ করেননি। ডাঃ কার্তিক গোপাল বিশ্বাস আলাউদ্দিনের সাথে দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়ে তিনি একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। এদিকে ছাত্রছাত্রীরা বলছে ৪ বছর আগে এই আলাউদ্দিন এই প্রতিষ্ঠানে হেড কিলার্ক হিসাবে যোগদান করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের সামনেই একটি ২ তলা বাড়ি ও মার্কেট করেছেন। এই জমি ও বাড়ির মূল্য কোটি টাকার উপরে। সজীব নামের এক ছেলের কাছে এসএসসির রেজাল্টে ভর্তি যোগ্য নয় এমন এক ছেলেকে ভর্তির জন্য ৫০ হাজার টাকা চান তিনি। প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন খাতের টাকা তসরুপ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তিনি। তার ছেলে এই প্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া করেই বিডিএস না হয়েও দস্ত চিকিৎসার ইউনিক ডেন্টাল কেয়ার নামে একটি চেম্বার খুলে বসেছেন। ডেন্টিস্ট এস.এম তাজমুল আল দ্বীন নামে তার প্যাডে চিকিৎসা দেন। তিনি প্রতি ভিজিটে ৫০০ টাকা করে নেন। এমন কয়েকটি পেসক্রিপশন সাংবাদিকদের হাতে রয়েছে।